গায়ে পুলিশের জ্যাকেট। ব্যক্তিগত গাড়িতে (প্রাইভেট কার) করে এসে ঢোকেন একটি দোকানে। মোবাইলে আর্থিক সেবাদাতা (এমএফএস) প্রতিষ্ঠান ‘নগদ’-এর পরিবেশক ওই দোকানির মাধ্যমে কয়েকটি নগদ হিসাবে ১ লাখ ২৫ হাজার টাকা পাঠান। এরপর দোকানিকে টাকা পরিশোধ না করেই চলে যাচ্ছিলেন তিনি। এ সময় তাঁকে ধরে রেখে থানায় খবর দেওয়া হয়। পুলিশ এসে তাঁকে আটক করে। আজ সোমবার বিকেলে সীতাকুণ্ড উপজেলার মাদামবিবিরহাট এলাকায় এ ঘটনা ঘটেছে।
আটক ব্যক্তির নাম শামীম ভূঁইয়া (২৮)। তিনি কুমিল্লা জেলার দেবীদ্বার উপজেলার বাসিন্দা। পুলিশ কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, শামীম বান্দরবান জেলা পুলিশের কনস্টেবল হিসেবে কর্মরত ছিলেন। তবে সম্প্রতি তাঁকে সাময়িক বহিষ্কার করা হয়।
পুলিশ ও স্থানীয় দোকানিরা জানান, শামীমের নির্দেশনা অনুযায়ী বিভিন্ন নগদ হিসাবে ১ লাখ ২৫ হাজার টাকা পাঠানোর পর তিনি চলে যাওয়ার চেষ্টা করছিলেন। এ সময় তাঁর কাছে পাওনা টাকা চাইলে তিনি নগদের পরিবেশক ওই দোকানিকে বলেন গাড়িতে টাকা আছে, সেখান থেকে দিচ্ছেন। তবে তিনি পালানোর চেষ্টা করায় তাঁকে আটক করা হয়। বিভিন্ন নগদ হিসাবে পাঠানো টাকার মধ্যে ১ লাখ ২০ হাজার ৫০০ টাকা আবার পরিবেশকের হিসাবে ফেরত আনা সম্ভব হয়েছে। তবে ৪ হাজার ৫০০ টাকা ফেরত আনা সম্ভব হয়নি।
সীতাকুণ্ডের ফৌজদারহাট পুলিশ ফাঁড়ির পরিদর্শক সোহেল রানা প্রথম আলোকে বলেন, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে বরখাস্ত হওয়া ওই পুলিশ সদস্যকে আটক করা হয়েছে। তাঁর গাড়িটিও জব্দ করা হয়।
সীতাকুণ্ড থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মজিবুর রহমান বলেন, আটক ব্যক্তির কথাবার্তা অসংলগ্ন মনে হয়েছে। তাঁর বিরুদ্ধে প্রতারণার মামলা প্রক্রিয়াধীন।