ফেলানী দিবসে নতুন কর্মসূচি দিয়েছে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন। দিবসটি উপলক্ষে আজ মঙ্গলবার বিকালে বিক্ষোভ সমাবেশ করবে তারা।
মঙ্গলবার নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে এ কর্মসূচি ঘোষণা করেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক সারজিস আলম।
তিনি ওই পোস্টে জানান, আজ (৭ জানুয়ারি) ফেলানী দিবসে বিক্ষোভ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হবে।
জাতীয় জাদুঘর, শাহবাগ মোড়ে বিকেল সাড়ে ৩টায় এ বিক্ষোভ সমাবেশে আসার আহ্বান জানান তিনি।
এদিকে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আহ্বায়ক হাসনাত আব্দুল্লাহ একটি পোস্ট শেয়ার দিয়ে ক্যাপশনে লিখেছেন, ফেলানী হত্যা থেকে ডামি ইলেকশন, কেঁড়ে নেওয়া স্বাধীনতা।
হাসনাতের শেয়ার করা পোস্টে লেখা আছে, কার কার মগজ, জিহ্বা ও মেরুদণ্ড এ যাবৎ দাসখত মুক্ত, ভীষণ অসম্ভবেও কারা কারা ন্যায়-অন্যায়ের সূক্ষ্ম পার্থক্য ভুলে যায়নি, কারা কারা সাদা-কালোর অসম প্রতিযোগিতায় সামান্য প্রাপ্তির লোভে ব্যক্তিত্ত্ব বিসর্জন দেওয়ার মহরতে অংশ নেয়নি- আজকে আঙ্গুলের ওপর মার্কারের কালি তারই নৈতিক ও ঐতিহাসিক টেক্সটবুক ডকুমেন্টশন।
কুড়িগ্রাম সীমান্তে কিশোরী ফেলানী হত্যার ১৪ বছর আজ ৭ জানুয়ারি (মঙ্গলবার)।
দেশ-বিদেশে আলোচিত এ নির্মম হত্যাকাণ্ডের দীর্ঘ সময় পেরিয়ে গেলেও বিচার পায়নি ফেলানীর পরিবার। বিচারিক কাজ ভারতের উচ্চ আদালতে ঝুলে থাকায় এখনও ন্যায় বিচারের আশায় অপেক্ষার প্রহর গুণছেন ফেলানীর বাবা-মাসহ স্থানীয়রা। বিচারিক কাজ বিলম্বিত হলেও ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে সীমান্ত হত্যা বন্ধের প্রত্যাশা বিশিষ্টজনের।
২০১১ সালের ৭ জানুয়ারি কুড়িগ্রামের ফুলবাড়ী উপজেলার অনন্তপুর সীমান্তে বাবার সাথে কাটাতারের বেড়া পার হওয়ার সময় ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিএসএফ সদস্য অমিয় ঘোষের গুলিতে নির্মমভাবে হত্যার শিকার হন বাংলাদেশি কিশোরী ফেলানী খাতুন।