পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র মোহাম্মদ রফিকুল আলম জানিয়েছেন, জুলাই-আগস্ট ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানে আহতদের ১১ জনকে বিদেশে পাঠানো হয়েছে। তাদের মধ্যে দুজন ইতোমধ্যে চিকিৎসা নিয়ে সুস্থ হয়ে বাংলাদেশে ফেরত এসেছে। এছাড়া আরও ২৮ জনকে উন্নত চিকিৎসার জন্য বিদেশে পাঠানোর বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন।
বৃহস্পতিবার (৯ জানুয়ারি) পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে সাপ্তাহিক মিডিয়া ব্রিফিংয়ে মোহাম্মদ রফিকুল আলম এ তথ্য জানান।
মুখপাত্র মোহাম্মদ রফিকুল আলম জানান, ২০২৪ সালের জুলাই-আগস্টে সংঘটিত ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানে আহতদের বিদেশে উন্নত চিকিৎসা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে একটি সমন্বিত উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে। এ উদ্যোগে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়, বিদেশে অবস্থিত বাংলাদেশ মিশন এবং বাংলাদেশে অবস্থিত বিভিন্ন বিদেশি মিশনগুলোর মধ্যে সমন্বয় সাধন করে কার্যক্রম বাস্তবায়ন করা হচ্ছে।
তিনি বলেন, এ প্রক্রিয়ায় গত ১-৮ জানুয়ারি পর্যন্ত গুরুতর আহত আটজন ব্যক্তি ও তাদের পরিবারের চার সদস্যদের জন্য দ্রুততম সময়ে ভিসা প্রাপ্তি নিশ্চিত করা সম্ভব হয়েছে। ঢাকায় অবস্থিত সংশ্লিষ্ট বিদেশি মিশনসমূহের সঙ্গে নিবিড় যোগাযোগের মাধ্যমে ভিসা আবেদন প্রক্রিয়া দ্রুত নিষ্পত্তি করতে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বিশেষ অগ্রাধিকার দিয়েছে এবং সংশ্লিষ্ট মিশনসমূহের কাছ থেকেও একই রকম আন্তরিক সহায়তা পেয়েছে। এ উদ্যোগের আওতায় স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় কর্তৃক প্রাপ্ত প্রয়োজনীয় চিকিৎসা তথ্য, আর্থিক সহযোগিতা ও প্রয়োজনীয় ডকুমেন্টসের ভিত্তিতে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সংশ্লিষ্ট উইং বিদেশে উন্নত চিকিৎসা নিশ্চিতকরণে সব ধরনের প্রচেষ্টা অব্যাহত রেখেছে। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন বিভিন্ন মিশন ও ঢাকায় অবস্থিত সংশ্লিষ্ট দূতাবাসসমূহের আন্তরিক প্রচেষ্টায় প্রক্রিয়াটি স্বল্প সময়ে সম্পন্ন করা সম্ভব হচ্ছে।