এরা আসলে কী বলতে চায় বা কী করতে চায়, সেটা আমি গভীরভাবে বুঝতে চাই না। তবে তাদের কিছু কিছু কথাবার্তা আমার মনে হয়, তারা আলো হাতে আধারের যাত্রী হওয়ার চেয়ে শুধুই আধারের যাত্রী হতে চায়। কেন এমন মনে হয়? কারণ, তাদের কথায় রাজনৈতিক শিক্ষার অভাব স্পষ্ট। তারা যেন নিজেদের প্রমাণ করার চেষ্টায় বেশি ব্যস্ত থাকে, বিনয়ের চেয়ে তাদের ঔদ্ধত্য বেশি প্রকাশিত হয়।
আমি এদের কথাগুলো বলছি কারণ এরা আমার সন্তানের মতো। কিন্তু সত্যি বলতে, তাদের কথার মধ্যে অসীম ঔদ্ধত্যের ঝাঁঝ আছে। নেতৃত্ব প্রতিষ্ঠার প্রতিযোগিতায় তারা এমনভাবে নিজেদের জড়িয়ে ফেলেছে যে, সেটা গ্রাম পর্যায়েও পৌঁছে গেছে। এর ফলে আমাদের ছাত্রশক্তি, তরুণ প্রজন্ম এবং যুবসমাজ ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে।
বর্তমানে জেলায় জেলায়, এলাকায় এলাকায় সমন্বয়কের যে প্রতিযোগিতা চলছে, তা দেখে মনে হয় সমন্বয়ক হওয়া যেন একটি চাকরি। এই সমন্বয়কের অবস্থান ব্যবহার করে তারা নিজেদের শক্তিমান প্রমাণ করার চেষ্টা করে। প্রশাসনের দিক থেকেও অনেকে এমন অবস্থানে আছে, যা নিয়ে আমি বিশেষ কিছু বলতে চাই না। তবে আমি যে প্রত্যাশা করেছিলাম, সেটা তাদের কাছ থেকে পূরণ হচ্ছে না।
রাষ্ট্রযন্ত্রের উপর হাত দেওয়ার জন্য যে অভিজ্ঞতা ও যোগ্যতা থাকা দরকার, তা তাদের নেই। তবুও তারা আরো বড় কিছু করার উচ্চাকাঙ্ক্ষা দেখায়। এই সরকার কিছুটা টিকে আছে, তবে একে সম্পূর্ণভাবে শক্তিশালী সরকার বলা যায় না। সরকার টিকে আছে অধ্যাপক মোহাম্মদ ইউনুস সাহেবের ইমেজের কারণে।