বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে হত্যার একটি মামলায় গ্রেপ্তার করা হয়েছিল রাজধানীর উত্তরা পূর্ব থানার সাবেক ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. শাহ আলমকে। কুষ্টিয়া থেকে গ্রেপ্তার করে গতকাল বুধবার দিবাগত রাত ১২টার পর তাঁকে উত্তরা পূর্ব থানায় আনা হয়েছিল। আজ বৃহস্পতিবার দুপুর ১২টার দিকে তিনি থানা থেকে পালিয়ে গেছেন। এ ঘটনায় থানার একজন সহকারী উপপরিদর্শককে (এএসআই) সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে।
ঢাকা মহানগর পুলিশের উপকমিশনার (মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেশনস বিভাগ) মুহাম্মদ তালেবুর রহমান আজ রাতে প্রথম আলোকে বলেন, আদালতে হস্তান্তরের প্রক্রিয়া চলাকালে মো. শাহ আলম কৌশলে পালিয়ে গেছেন বলে প্রাথমিকভাবে জানা গেছে। এ ঘটনায় উত্তরা পূর্ব থানার এএসআই মো. সাজ্জাদ হোসেনকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। পাশাপাশি থানা হেফাজত থেকে পালানোর ঘটনায় শাহ আলমের বিরুদ্ধে আরেকটি মামলা হয়েছে। তাঁকে গ্রেপ্তারের জন্য পুলিশের তৎপরতা ও গোয়েন্দা নজরদারি অব্যাহত রয়েছে।
বৈষম্যবিরোধী আন্দোলন চলাকালে উত্তরা পূর্ব থানার ওসি ছিলেন মো. শাহ আলম (৪২)। ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর কুষ্টিয়ায় ইন সার্ভিস ট্রেনিং সেন্টারে পরিদর্শক হিসেবে তাঁকে বদলি করা হয়েছিল। এর পর থেকে তিনি সেখানেই কর্মরত ছিলেন।
পুলিশ সূত্র জানিয়েছে, বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের সময় হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় গত বছরের ২ সেপ্টেম্বর উত্তরা পূর্ব থানায় একটি হত্যা মামলা হয়। সেই মামলায় শাহ আলমকে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল। মামলার তদন্ত কর্মকর্তা উপপরিদর্শক মো. লিটন শরীফ থানার সাবেক ওসি শাহ আলমকে গ্রেপ্তার করে কুষ্টিয়া থেকে ঢাকায় নিয়ে আসেন।
পুলিশের একটি সূত্র জানিয়েছে, মো. শাহ আলম পালিয়েছেন উত্তরা পূর্ব থানার পরিদর্শকের (অপারেশনস) কক্ষ থেকে। এ সময় থানার বর্তমান ওসি, পরিদর্শক (তদন্ত), মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ও অন্য পুলিশ সদস্যরা থানায় উপস্থিত ছিলেন। এর মধ্যে পুলিশ পরিদর্শক শাহ আলম কীভাবে পালিয়ে গেলেন, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে।