Home » সাবেক ডিএমপি কমিশনারের ৩ হাজার কোটি টাকা পাচারের অভিযোগ প্রত্যাহার

সাবেক ডিএমপি কমিশনারের ৩ হাজার কোটি টাকা পাচারের অভিযোগ প্রত্যাহার

by radesk
0 comments

পুলিশের অবসরপ্রাপ্ত অতিরিক্ত আইজিপি ও সাবেক ডিএমপি কমিশনার খন্দকার গোলাম ফারুকের বিরুদ্ধে দুদকে তিন হাজার কোটি টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জনের একটি অভিযোগ দায়ের করা হয়েছিল। গত ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার আন্দোলনে আওয়ামী লীগের পতন হলে তার বিরুদ্ধে পাঁচজন নাগরিক এ অভিযোগ এনে তদন্তের আবেদন করেন দুদকে। কিন্তু কোটি টাকার বিনিময়ে ওই আবেদনটি প্রত্যাহার করা হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে।

জানা গেছে, সাবেক ডিএমপি কমিশনার গোলাম ফারুকের বিরুদ্ধে গত ২৮ জুলাই তিন হাজার কোটি টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগ করা হয়। পাঁচজন ব্যক্তি যৌথ স্বাক্ষরে এ ব্যাপারে দুর্নীতি দমন কমিশনে তদন্তের আবেদন করেন। লিখিত অভিযোগে বলা হয়, খন্দকার গোলাম ফারুক চাকরিজীবনে ক্ষমতার প্রভাব খাটিয়ে অবৈধভাবে সারা দেশ থেকে প্রায় তিন হাজার কোটি টাকা হাতিয়ে নেন। তিনি বাংলাদেশের নাগরিক। একইসঙ্গে তিনি আমেরিকার গ্রীনকার্ডধারী। গোলাম ফারুক নিকট স্বজনদের মাধ্যমে অবৈধভাবে অর্জিত প্রায় আড়াই হাজার কোটি টাকা আমেরিকায় পাচার করেন। এছাড়াও দেশের বিভিন্ন স্থানে প্রায় ৫০০ কোটি টাকার স্থাবর, অস্থাবর সম্পদ ও নগদ অর্থ  রয়েছে।

এমন অভিযোগের আড়াই মাস পর গত ১৪ অক্টোবর হঠাৎ এটি প্রত্যাহার করে নেন অভিযোগকারীরা। অতি সম্প্রতি বিষয়টি প্রকাশ পেলে এ নিয়ে চলছে নানা জল্পনা কল্পনা। চাপের মুখে কোটি টাকা লেনদেনের মাধ্যমে প্রত্যাহার করা হয়েছে বলেও অভিযোগ উঠেছে।

জানা গেছে, দুদকে অভিযোগ দায়েরের পর গোলাম ফারুকের পরিবারের সদস্যরা আতঙ্কিত হয়ে পড়েছিল। কিন্তু এখন মনে হচ্ছে সে আতঙ্ক কেটে গেছে। খন্দকার গোলাম ফারুকের ঘনিষ্ট এক আত্মীয় জানান, কোটি টাকার বিনিময়ে অভিযোগটি প্রত্যাহার করা হয় বলে শুনেছেন তিনি।

গোলাম ফারুকের দুই ভাই জানিয়েছেন, চোখের চিকিৎসা নিতে বর্তমানে স্ত্রীসহ থাইল্যান্ডে অবস্থান করছেন তিনি। যদিও তাদের এক ঘনিষ্ট আত্মীয় জানান, থাইল্যান্ড নয় তারা বর্তমানে আমেরিকাতে অবস্থান করছেন। এ বিষয়ে জানতে চাইলে দুদকে অভিযোগকারী নাফিয়া বিনতে সিনহা মোবাইলে বলেন, অভিযোগ করার পর বুঝতে পারি গোলাম ফারুকের কোনো বিচার হবে না। দুদকের ওপর আস্থা হারিয়ে আমি অভিযোগ প্রত্যাহার করে নিয়েছি। কোটি টাকা লেনদেনের বিষয়টি অস্বীকার করে তিনি বলেন অভিযোগকারী অন্য কেউ টাকা নিয়েছে কিনা তা বলতে পারেব না।

এ বিষয়ে টাঙ্গাইল জেলা দুর্নীতি প্রতিরোধ কমিটির সাবেক সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট খান মোহাম্মদ খালেদ বলেন, প্রত্যাহারের বিষয়টি সন্দেহজনক। তবে দুর্নীতি দমন কমিশনের যথাযথ তদন্ত কাজ চালিয়ে যেতে বাধা নেই বলেও মনে করেন এই আইনজীবী।

You may also like

Leave a Comment

Rajneeti Ajkal is a leading news portal dedicated to providing comprehensive coverage of news, current affairs, political analysis, and the contemporary landscape of Bangladesh.

Rajneeti Ajkal, A Media Company – All Right Reserved. Designed and Developed by Rajneeti Ajkal