বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতা–কর্মীদের অভিনন্দন জানিয়ে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর রায় বলেছেন, ‘১৫ দিনের পুঁজি দিয়ে রাস্তায় বেশি দিন হাঁটা যায় না। ১৬ বছর ধরে আমরা আন্দোলন করছি। প্রত্যেক রক্তের মূল্য আছে। যে সর্বশেষ রক্ত দিয়েছে, তারও আছে; যে সবার আগে দিয়েছে, তারও আছে।’
ঢাকার কেরানীগঞ্জের কোন্ডা এলাকায় আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে বিএনপির কর্মিসভা ও ফরম বিতরণ অনুষ্ঠানে গয়েশ্বর রায় এসব কথা বলেন। দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানা বিএনপি এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।
গয়েশ্বর রায় কর্মিসভায় বলেন, ‘ছাত্রদের কোটাবিরোধী ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আট দফার মধ্যে কিন্তু সরকার পতনের দাবি ছিল না। তাঁরা এই আন্দোলনে নামার পরদিন আমরা তাতে প্রকাশ্যে সমর্থন জানিয়েছি। ছাত্ররা আন্দোলনে নামার পরপরই আমি আমাদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের কাছে একটি খুদে বার্তা পাঠালাম। পাঁচ মিনিটের মধ্যে তিনি আমার মুঠোফোনে কল করলেন; বললেন, “বিষয়টি খুবই গুরুত্বপূর্ণ, তাহলে সবাইকে ডেকে বসি।” সেই বৈঠক থেকে ছাত্রদের আন্দোলনের প্রতি নৈতিক সমর্থন জানানো হলো। ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান টেলিফোনে সবার সঙ্গে যোগাযোগ শুরু করলেন। তিনি আমাকে বললেন, “শুধু নৈতিক সমর্থন যথেষ্ট নয়, সবাইকে সক্রিয় করতে হবে।” আমি বললাম, “অবশ্যই সক্রিয় করতে হবে। তবে দলীয় ব্যানার ছাড়া আমরা সবাই এই আন্দোলনে অংশগ্রহণ করব।” এরপরই আমাদের ছাত্র-যুবক নেতা-কর্মীরা মাঠে নেমে পড়লেন। হাসিনা কিন্তু বারবার বলেছেন, এটা বিএনপির ষড়যন্ত্র। আমরা বিএনপির পোশাক ছেড়ে হয়ে গেলাম ছাত্র-জনতা। এই আন্দোলনে দেশের সব মানুষ নেমেছিলেন। এদেরকে কে নামিয়েছিল? এই বিএনপিই নামিয়েছিল।’