উন্নত চিকিৎসার জন্য আজ মঙ্গলবার (৭ জানুয়ারি) লন্ডন যাচ্ছেন বিএনপি চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া। কাতারের আমিরের পাঠানো বিশেষ এয়ার অ্যাম্বুল্যান্সে লন্ডনের হিথ্রো বিমানবন্দরে যাবেন তিনি।
সেখানে তাকে অভ্যর্থনা জানাবেন তার বড় ছেলে ও বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ও পুত্রবধূ ডা. জুবাইদা রহমান এবং পরিবারের সদস্যরা।
অর্ধ যুগের বেশি সময় পর দেখা হবে মা ও ছেলের।
বিমানবন্দরের সামনে যুক্তরাজ্য বিএনপির বিপুলসংখ্যক নেতা-কর্মী তাদের প্রিয় নেত্রীকে স্বাগত জানাবেন। এরপর তাকে বিশেষায়িত হাসপাতাল ‘লন্ডন ক্লিনিকে’ ভর্তি করা হবে। সেখানকার চিকিৎসকরাই তার চিকিৎসার বিষয়ে সব সিদ্ধান্ত নেবেন।
নানা জটিল রোগে আক্রান্ত খালেদা জিয়ার উন্নত চিকিৎসার জন্য বিদেশ নেওয়ার চেষ্টা করছিল বিএনপি।
দলটি এই দাবিতে ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগ সরকারের বিরুদ্ধে আন্দোলন করেছে। তার পরিবারের পক্ষ থেকেও ওই সময় সরকারের কাছে বারবার আবেদন করা হয়, কিন্তু তাতে সাড়া মেলেনি। গত ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার আন্দোলনে শেখ হাসিনা পালিয়ে যাওয়ার পর সব দ্বার উন্মুক্ত হয়। খালেদা জিয়া মুক্তি পান।
একই সঙ্গে তার উন্নত চিকিৎসার প্রস্তুতি শুরু করে দলটি। শারীরিক অসুস্থতার কারণে একাধিকবার তারিখ পরিবর্তন করে অবশেষে তিনি লন্ডনে যাচ্ছেন।
খালেদা জিয়ার এই চিকিৎসার জন্য বিদেশ যাওয়াকে কেন্দ্র করে দলটির নেতাকর্মীদের মধ্যে এক ধরনের আবেগ কাজ করছে। বিমানবন্দরে খালেদা জিয়াকে বিদায় জানানোর প্রস্তুতি নিচ্ছেন তারা।
কাতারের আমির শেখ তামিম বিন হামাদ আল থানি সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার শারীরিক অসুস্থতার কথা জেনে তার রাজকীয় বহরের এ বিশেষ বিমান দিয়েছেন।
কাতারের আমিরের বিশেষ এয়ার অ্যাম্বুলেন্সটি গতকাল সন্ধ্যা ৭টা ৪০ মিনিটে শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করে।