বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় গুলিবিদ্ধ ভ্যানচালক ওমর ফারুকের মামলায় রংপুর জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সহসভাপতি আবদুল মজিদকে গ্রেপ্তার করেছে যৌথ বাহিনী। আজ রোববার ভোরে উপজেলার কুর্শা ইউনিয়নের মহেশা এলাকায় নিজ বাড়ি থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়। আবদুল মজিদ কুর্শা ইউনিয়ন পরিষদেরও (ইউপি) চেয়ারম্যান।
মামলার নথিপত্র অনুযায়ী, মামলার বাদী ওমর ফারুকের বাড়ি রংপুর নগরের শেখপাড়ায়। তিনি পেশায় ভ্যানচালক। গত ১৬ জুলাই আবু সাঈদ নিহত হওয়ার পর বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে ছাত্র-জনতাকে পানি সরবরাহ করতেন ওমর ফারুক। কেউ আহত ও গুলিবিদ্ধ হলে তাঁকে ভ্যানে করে হাসপাতালে আনা-নেওয়া করতেন।
গত ১৮ অক্টোবর তাজহাট তুলা উন্নয়ন বোর্ডের সামনে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনকারীদের ওপর আওয়ামী লীগের নেতা–কর্মীরা হামলা চালান। আওয়ামী লীগ ক্যাডারদের গুলিতে ওমর ফারুক গুলিবিদ্ধ হন।
এ ঘটনায় ২৪ অক্টোবর ওমর ফারুক ৮৬ জনের নাম এজাহারে উল্লেখ করে এবং দুই শতাধিক ব্যক্তিকে অজ্ঞাতনামা আসামি করে মামলা করেন। আবদুল মজিদ এজাহারের ১৪ নম্বর আসামি। তাঁকে গ্রেপ্তারের বিষয়টি নিশ্চিত করে তাজহাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাহ আলম সর্দার প্রথম আলোকে বলেন, আবদুল মজিদকে থানার পুলিশের কাছে সোপর্দ করেছে যৌথ বাহিনী। তাঁকে আদালতে পাঠানো হবে।