বগুড়ায় বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে আবু সাঈদ (৩০) নামের যুবদলের সাবেক এক নেতাকে কুপিয়ে হত্যা করা হয়েছে। গতকাল শুক্রবার দিবাগত রাত সাড়ে ১২টার দিকে বগুড়া শহরের নিশিন্দারা পশ্চিমপাড়া এলাকায় তাঁকে কুপিয়ে আহত করে দুর্বৃত্তরা। শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়ার পর চিকিৎসকেরা তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন।
আবু সাঈদ বগুড়া শহরের নিশিন্দারা পশ্চিমপাড়ার ইউসুফ আলীর ছেলে। তিনি বালু ব্যবসার মধ্যস্থতাকারী ছিলেন। তাঁর বিরুদ্ধে মাদক কারবারের আটটি মামলা আছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
বগুড়া সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এস এম মাঈনুদ্দীন প্রথম আলোকে বলেন, আবু সাঈদের বিরুদ্ধে মাদক কারবারের আটটি মামলা আছে। মাদক কিংবা বালু ব্যবসাকে কেন্দ্র করে পূর্বশত্রুতার জেরে এ হত্যাকাণ্ড ঘটেছে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে। তবে হত্যাকাণ্ডে জড়িত ব্যক্তিদের এখনো শনাক্ত করা সম্ভব হয়নি। শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজের মর্গে ময়নাতদন্ত শেষে লাশ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। আবু সাঈদের বাবা ইউসুফ আলী বাদী হয়ে অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিদের আসামি করে হত্যা মামলা করেছেন।
মামলার বাদী ইউসুফ আলী প্রথম আলোকে বলেন, গতকাল রাতে খাবার খেয়ে তাঁর ছেলে আবু সাঈদ ঘুমানোর প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন। দিবাগত রাত ১২টার দিকে হঠাৎ তাঁর মুঠোফোনে অপরিচিত নম্বর থেকে কল আসে। ফোনে কথা বলতে বলতে তিনি বাড়ি থেকে বের হয়ে যান। দীর্ঘক্ষণেও বাড়িতে না ফেরায় দিবাগত রাত সাড়ে ১২টার পর তাঁর মুঠোফোনে কল দিলে কেউ একজন ধরে বলেন, সাঈদকে কুপিয়ে হত্যা করা হয়েছে। লাশ শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে আছে। ছেলে বালু ব্যবসা ও জমি কেনাবেচার মধ্যস্থতাকারী হিসেবে কাজ করতেন বলে তিনি জানান।
বগুড়া জেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক খায়রুল বাশার বলেন, আবু সাঈদ বগুড়া পৌরসভার ১৬ নম্বর ওয়ার্ড যুবদলের সদস্য ছিলেন। পরে স্বেচ্ছাসেবক দলের এক নেতার সঙ্গে চলাফেরা করতেন।