Home Politics ‘তাজউদ্দিনের অনুরোধ সত্ত্বেও শেখ মুজিব স্বাধীনতার ঘোষণা দেননি’

‘তাজউদ্দিনের অনুরোধ সত্ত্বেও শেখ মুজিব স্বাধীনতার ঘোষণা দেননি’

by radesk
0 comments

বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি) এর স্থায়ী কমিটির সদস্য মেজর (অব.) হাফিজ উদ্দিন আহমদ বলেছেন, তাজউদ্দিন আহমদ টেপ রেকর্ড নিয়ে শেখ সাহেবের ধানমন্ডির ৩২ নম্বরের বাড়িতে গিয়ে তাকে অনুরোধ করেন যে একটা ভয়েস মেসেজ দেওয়ার জন্যে, বাংলাদেশের স্বাধীনতা ঘোষণা করার জন্যে। কিন্তু তিনি বললেন যে না, আমি পাকিস্তান ভাঙার দায়িত্ব নেব না। ৭ মার্চ তিনি যদি ঘোষণা দিতেন তাহলে পরদিন থেকেই যুদ্ধ শুরু হয়ে যেত। স্বাধীনতার ঘোষণা প্রথম আসে অষ্টম ইস্ট বেঙ্গলের উপ-অধিনায়ক মেজর জিয়াউর রহমানের কণ্ঠ থেকে।

সম্প্রতি একটি বেসরকারি টেলিভিশনে দেওয়া সাক্ষাতকারে এসব কথা বলেন মেজর (অব.) হাফিজ উদ্দিন আহমদ।

আপনি একজন বীর মুক্তিযোদ্ধা খেতাবপ্রাপ্ত মুক্তিযোদ্ধা এবং মহান মুক্তিযোদ্ধাকে চরমভাবে ধারণ করেন। বাংলাদেশের যে রাজনৈতিক দলটি নিজেদেরকে সম্ভবত একমাত্র মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের শক্তি বলে দাবি করে আসে এবং মুক্তিযুদ্ধের চেতনা যাদের রাজনৈতিক সবচেয়ে বড় ঢাল তাদের দলে যোগ না দিয়ে আপনি বিএনপিতে যোগ দিলেন কেন?

উত্তরে তিনি বলেন, ‘আসলে আমি বিএনপিতে যোগ দিয়েছি ১৯৯২ সালে। তখন আমি সংসদে একজন স্বতন্ত্র সদস্য হিসেবে নির্বাচিত হয়ে এসেছিলাম। আমরা তিনজন স্বতন্ত্র সদস্য ছিলাম। এক বছর পার হয়ে গেল, দেখলাম স্বতন্ত্র থেকে আর পোষাচ্ছে না। একটি বড় রাজনৈতিক দলে না গেলে এলাকার উন্নয়ন কাজ করা যায় না। নানাবিধ অসুবিধার সম্মুখীন হতে হয়। তখন ডিসাইড করার প্রশ্ন হলো- আমি মাঝামাঝি জায়গায় বসতাম সংসদে বাঁদিকে ক্ষমতাসীন দল বিএনপি। ডানদিকে বিরোধী দল আওয়ামী লীগ। তো দুটি দলের দিকে তাকিয়ে এবং তাদের এক বছরের কর্মকাণ্ড বিশ্লেষণ করে, সংসদে তাদের বক্তব্য শুনে সবকিছু দেখে মনে হলো যে আমার জন্য বিএনপি একটা বেটার অপশন হবে। প্রধানত আমি তৎকালীন মেজর পরবর্তীকালে রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের অধীনে ৭১-এ মুক্তিযুদ্ধে তার অধীনস্থ একজন সেনা কর্মকর্তা ছিলাম। সেই হিসাবে জিয়ার প্রতি আমার আলাদা টান ছিল, অনুরাগ ছিল। বেগম জিয়াকেও তিনি রাজনীতিতে আসার অনেক আগে থেকে চিনি। আর জিয়াউর রহমানের পিএস ছিলাম দেড় বছর সামরিক বাহিনীতে আর্মি হেডকোয়ার্টারে। তো নানা কারণে আমার কাছে মনে হলো যে বিএনপি আমার জন্য ভালো হবে। সেজন্য আমি বিএনপিতে যোগদান করেছিলাম।’

মুক্তিযুদ্ধ চলাকালীন সময়ে আপনি আসলে কিভাবে স্বাধীনতার ঘোষণাটি শুনেছেন। সেটা কি জিয়ার ঘোষণা হিসেবে শুনেছেন নাকি বঙ্গবন্ধুর কথা জিয়া ঘোষণা করছেন সেভাবে শুনেছেন? আপনার উপর জিয়ার ঘোষণার প্রভাব কি ছিল?

উত্তরে বিএনপির স্থায়ী কমিটির এই সদস্য বলেন, ‘আমি কারো স্বাধীনতা ঘোষণা শুনিনি। প্রথমত শেখ মুজিবুর রহমানের কথায় আসি, তিনি বড় মাপের একজন রাজনৈতিক নেতা ছিলেন। তিনি ২৪ বছর যাবত পূর্ব পাকিস্তানের জনগণকে সাথে নিয়ে আন্দোলন করেছেন। পাকিস্তানের রাষ্ট্রীয় কাঠামোতে স্বাধিকার অর্জনের জন্যে বা স্বায়ত্ব শাসন অর্জনের জন্যে। অর্থাৎ পশ্চিম পাকিস্তানের প্রদেশগুলো যেই অধিকার সুবিধা ভোগ করে, পূর্ব পাকিস্তানেও সেই একই অধিকার পাওয়ার জন্যে। কিন্তু ২৫ মার্চ পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর একটা ভয়াবহ ক্র্যাকডাউনের পর হাজার হাজার নিরীহ মানুষকে হত্যা করার পর, দৃশ্যপট পরিবর্তিত হয়ে যায় তখন আর স্বাধিকার আন্দোলন থাকেনি। তখন এটি রূপ নেয় স্বাধীনতা আন্দোলনে। স্বাধীনতার ঘোষণা শেখ মুজিবুর রহমান দেননি। কারণ, হলো তিনি পূর্ব পাকিস্তানের জনগণের দ্বারা নির্বাচিত সংখ্যাগরিষ্ঠ আসনে নির্বাচিত দলের প্রধান ছিলেন। পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী হওয়ার সব ন্যাজ্য অধিকার তারই ছিল। সেই জন্য তিনি পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী হতে চেয়েছিলেন এতে দোষের কোন কিছু নাই। জনগণ তাকে ভোট দিয়েছে প্রধানমন্ত্রী হওয়ার জন্যে, সেজন্য তিনি কোন স্বাধীনতা ঘোষণার মধ্যে যেতে চাননি। রাত সাড়ে ৯টার দিকে তার সাধারণ সম্পাদক তাজউদ্দিন আহমদ টেপ রেকর্ড নিয়ে শেখ সাহেবের ধানমন্ডির ৩২ নম্বরের বাড়িতে গিয়ে তাকে অনুরোধ করেন যে একটা ভয়েস মেসেজ দেওয়ার জন্যে, বাংলাদেশের স্বাধীনতা ঘোষণা করার জন্যে। তিনি বললেন যে না আমি পাকিস্তান ভাঙার দায়িত্ব নেব না এবং তাকে তাহলে জনগণ বিচ্ছিন্নতাবাদী হিসেবে চিহ্নিত করবে। অর্থাৎ বাংলাদেশ যে একটা স্বাধীন রাষ্ট্র হতে পারে এটা তাদের চিন্তা চেতনায় ছিল না। কারণ, তারা ট্রেডিশনাল গতানুগতিক রাজনীতি করে।’

৭ মার্চ তো শেখ মুজিবর রহমান বলেছেন ‘এবারের সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রাম’? মেজর হাফিজ এ বিষয়ে বলেন, ‘সেটি হলো দর কষাকশির রাজনীতি। সেখানে তিনি চারটি দাবি দিয়েছিলেন। যেমন- সেনাবাহিনীকে বেড়াকে ফিরিয়ে নিয়ে যেতে হবে, নির্বাচিত প্রতিনিধিদের কাছে পাকিস্তানের শাসনভার অর্পণ করতে হবে, প্রত্যেকটি হত্যাকাণ্ডের বিচার করতে হবে… এ ধরনের চারটি দাবি দিয়েছিলেন। তবে স্বাধীনতার কোন দাবি ছিল না। ৭ মার্চের ওই দাবিটি যদি স্বাধীনতার দাবি হতো তাহলে তো আট তারিখ থেকে স্বাধীনতা যুদ্ধ শুরু হয়ে যেত। বাংলাদেশের মানুষও ৭০-এর নির্বাচনে একটি স্বাধীন রাষ্ট্রের জন্য ভোট দেয়নি কিন্তু ২৫ মার্চ রাত্রে সে ভয়াবহ কালো রাতের ক্র্যাকডাউনের পর স্বাধীনতার যুদ্ধ শুরু করা ছাড়া বাঙালিদের কোন আর কোন অপশন ছিল না। এই যুদ্ধ শুরু হয়েছে প্রধানত ইস্ট বেঙ্গল রেজিমেন্টের পাঁচটি ব্যাটালিয়ন পাঁচটি ক্যান্টনমেন্টে কর্মরত ছিল। স্বাধীনতার ঘোষণা প্রথম আসে অষ্টম ইস্ট বেঙ্গলের উপ অধিনায়ক মেজর জিয়াউর রহমানের কণ্ঠ থেকে।’

বিএনপির হাই কমান্ডের বিরুদ্ধে বিরূপ মন্তব্য করায় ২০২০ সালের শেষের দিকে আপনাকে বিএনপি থেকে বহিষ্কার করার একটা গুঞ্জন শোনা যায়। ব্যাপারটা আসলে কি?

তিনি বলেন, ‘আমাকে শোকজ করা হয়েছিল এবং শোকজে ১১টি কারণ দর্শানোর নোটিস আমাকে দেওয়া হয়েছিল। সেখানে হলো যে আমি দলীয় শীর্ষ নেতৃবৃন্দের বিরুদ্ধে কথাবার্তা বলি এবং দলের নিয়ম শৃঙ্খলা মানি না এবং আমার দলের কর্মীদের সাথে আমি ভালো আচরণ করি না… এ ধরনের ১১টি দিয়েছে, যেগুলার জবাব আমি দিয়েছি যথাসময়ে। সেটি আমাদের শীর্ষ পর্যায়ের তারা গ্রহণযোগ্যই মনে করেছেন। তারপর থেকে এটি নিয়ে আর কিছু শোনা যায়নি।’

বিএনপির নেতৃত্বদের কোন অংশের সাথে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বিষয়ে আপনার কি কোন দ্বিমত রয়েছে বা মতের দ্বৈততা আছে? মেজর (অব.) হাফিজ উদ্দিন আহমদ বলেন, ‘মোটেই না বিএনপি রণাঙ্গনের মুক্তিযোদ্ধাদের দল, স্বাধীনতার ঘোষণা যিনি দিয়েছেন শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের দল। কারণ, এই দল মুক্তিযোদ্ধাকে সর্বতভাবে ধারণ করে। মুক্তিযুদ্ধবিরোধী কোন তৎপরতা আমাদের দলের কখনোই করেনি ভবিষ্যতেও করবে না।’

২০২৪ সালের নির্বাচনের সময়ে শোনা যাচ্ছিল যে আপনি বিএনপি ছেড়ে অন্য দলে যোগ দিতে যাচ্ছেন? উত্তরে তিনি বলেন, ‘এটি গুঞ্জন ছিল। তার আগে বিএনপির গত সাত আট বছর ধরে কোন কাউন্সিল হয় না। যার ফলে সাধারণ সদস্যদের মত প্রকাশের কোন সুযোগ নেই। এছাড়া দলের কিছু কিছু কর্মকাণ্ডের সাথে আমি দ্বিমত পোষণ করি কিন্তু এসব কথাবার্তা বলার বা আমার দ্বিমত পোষণ করার তো কোন ফোরম নেই। যে কারণে আমার কিছু কিছু কথায় তৎকালীন শাসকদল মনে করেছিল যে আমি দল ত্যাগ করতে পারি। সেই জন্যই তাদের দলের শীর্ষ পর্যায় থেকে আমার সাথে যোগাযোগ করা হয়েছে। কিন্তু আমি যেহেতু তখন ৩২ বছর ধরেই দল করি এবং জিয়াউর রহমানের অধীনে যুদ্ধ করেছি, বেগম জিয়া আমাকে খুবই স্নেহ করেন, এসব কারণে আর দল ত্যাগ করিনি। শাসকদলের ধারণা হয়েছিল যে যেহেতু আমি দলের বিরুদ্ধে মাঝে মাঝে কথা বলি দলের নেতৃবৃন্দের বিরুদ্ধে কথাবার্তা বলি। এটাও বলেছে যে বিএনপি জিয়াউর রহমানের আদর্শ থেকে বিচ্যুত হয়েছে, সে কারণেই ক্ষমতার বাইরে নিক্ষিপ্ত হয়েছে। এ ধরনের কথাবার্তা সাধারণত কেউ বলে না, যেহেতু আমি বলেছি সেজন্য তাদের ধারণা হয়েছে যে আমি আর বিএনপিতে থাকবো না।’

তিনি আরো বলেন, ‘সেই আদর্শের বিচ্যুতি প্রথমত হলো যে জিয়াউর রহমান ছিলেন এদেশের সবচাইতে সৎ দেশপ্রেমিক রাষ্ট্রপতি কোন ধরনের স্বজনপ্রীতি বা দুর্নীতি তাকে কখনোই স্পর্শ করতে পারেনি। কিন্তু বিএনপি যে কয়েকবার ক্ষমতায় ছিল বিশেষ করে ২০০১ থেকে ২০০৬ পর্যন্ত এই সময়ে কিছু কিছু ভুল পদক্ষেপ বিএনপি নিয়েছে এবং মন্ত্রিসভারও দুই একজন সদস্যের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ এসেছে। এসব কারণেই আমি মনে করেছি যে জিয়াউর রহমানের আদর্শ থেকে বিএনপি দূরে সরে গিয়েছে। সেই জন্য এই কথাটি আমি বলেছি যাতে করে আমাদের দলের নেতৃবৃন্দ কিংবা দলের কর্মীরা সবাই যাতে নিজেকে নিজে আমরা নিজেরাই যেন নিজেদেরকে সংশোধন করতে পারি। সেই উদ্দেশ্যে দলের ভালোর জন্য এই কথাগুলো আমি বলেছিলাম।’

অন্তর্বর্তীকালীন সরকার নিয়ে আপনি এক বক্তব্যে মন্তব্য করেছেন যে যায় লঙ্কায় সেই হয় রাবণ, ব্যাপারটা
একটু বলবেন? উত্তরে মেজর হাফিজ বলেন, ‘এর আগেও আমরা অন্তর্বর্তীকালীন সরকার দেখেছি যেটি ছিল তিন মাসের জন্যে তত্ত্বাবধায়ক সরকার। তত্ত্বাবধায়ক সরকারের মেয়াদককাল ছিল তিন মাস এবং এটি আমরা সংবিধানে সংযোজন করেছিলাম। আমরা এই বিএনপি সরকার ৯৬ সালে বাতিল করেছিল। এটি আর এখন যেহেতু অন্তর্বতীকালীন সরকার একই জিনিস। নিরপেক্ষ ব্যক্তিদেরকে নিয়ে গঠিত অরাজনৈতিক ব্যক্তিদেরকে নিয়ে গঠিত কিন্তু এর কোন মেয়াদকাল নেই তো মেয়াদকাল নাই। এর সুযোগে কিছু কিছু উপদেষ্টা বা কিছু কিছু এর সাথে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিবর্গের কথায় মনে হয় যে তারা দীর্ঘদিন থাকতে চায় ১০-২০ বছর ধরে। তারা কেবল সংস্কার করেই যাবেন, সংস্কার তো এত সোজা না। সেটি নিশ্চয়ই সরকার বর্তমানে উপলব্ধি করছে। দ্রব্যমূল্য কমাতে গিয়েই তো তাদের নাবিশ্বাস উঠেছে। যেই ক্ষমতায় বসে এয়ার কন্ডিশনার এই পতাকা লাগানো গাড়ির মায়া অনেকেই ছাড়তে চায় না। অনেকে অনেক কথা বলে যেগুলো বলা উচিত না এবং দেশের বাস্তব পরিস্থিতি উপলব্ধি করতে হবে। আরেকটা জিনিস হলো সীমান্তের ওপারে পতিত স্বৈরাচার শেখ হাসিনা বসে আছেন তিনি

তো এই দেশকে অস্থিতিশীল করার জন্যে। আবার তিনিও স্বপ্ন দেখেন আবার বাংলাদেশের সেই গণভবনে তিনি আবার প্রবেশ করবেন দলের সদস্যদেরকে নিয়ে এবং সেই কারণে এই দেশে যত রকমের বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করা যায় সবকিছু করতে তিনি রাজি।’

বাংলাদেশের রাজনৈতিক পরিপ্রেক্ষিতে যারা এই জুলাই আগস্টের আন্দোলনে নেতৃত্ব দিয়েছেন তাদের অবস্থান নিয়ে আপনি বলেছেন যে ছাত্ররা সম্ভবত গণতান্ত্রিক সমাজ বিনির্মাণে বিশ্বাসী নয়। তারা মনে করে রাজপথে কয়েকটা স্লোগান দিলেই মিছিল করলেই দেশ ঠিক হয়ে যায়। তাদের অবস্থান নিয়ে
আপনি কি ভাবছেন বা আপনার দল কি ভাবছে?

বিএনপির এই নেতা বলেন, ‘আমার দল থেকে দলের পক্ষ থেকে আমার পক্ষ থেকে এই বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনে যারা অংশগ্রহণ করেছে তাদেরকে অভিনন্দন জানাই। তারা ইতিহাস সৃষ্টি করেছে এটিকে এক ধরনের বিপ্লবও বলা যেতে পারে এবং তারা জনগণের দীর্ঘদিনের আশা আকাঙ্ক্ষার প্রতিফলন ঘটিয়েছে। অনেক আত্মহতি দিয়েছে এবং তাদের  এই আন্দোলনের অনেক সাধারণ মানুষও অংশগ্রহণ করেছেন যেমন আমার নির্বাচনী এলাকা লালমোহন এবং তজুমুদ্দিন ভোলার দুইটি থানায় ১২ জন শহীদ হয়েছে। এর মধ্যে একজনও ছাত্র না, সাধারণ মানুষ রিকশাওয়ালা, মোদি দোকানদার, নানা পেশার স্তরের মানুষ এসে এই আন্দোলনে যোগ দিয়েছে। আরেকটি জিনিস ছাত্ররা হয়তো খেয়াল করে না যে গত ১৬ বছর ধরে বিএনপি এই সরকারের বিরুদ্ধে আন্দোলন করে আসছে। আমাদের হাজার কর্মী কারা নির্যাতিত হয়েছে, শত শত কর্মী গুম হয়েছে এবং অনেক আন্দোলন ত্যাগ তিতিক্ষার পর বিএনপি বর্তমান আন্দোলনকে এই পর্যায়ে নিয়ে এসেছে। চূড়ান্ত পর্যায়ে ছাত্রদের অংশগ্রহণের ফলে এটি গতিবেগ লাভ করে এবং চূড়ান্ত পর্যায়ে ছাত্ররা অনেক সাহস দেখিয়েছে বিশেষ করে আবু সাঈদের মত একজন ব্যক্তি চিরকাল বাংলাদেশের ইতিহাসের জনগণ তাকে স্মরণ করবে। সুতরাং এটি একটি ছিল ছাত্র জনতার মিলিত আন্দোলন। এসব কৃতিত্ব যদি ছাত্ররা একা নিতে চায় সেটি ভুল হবে। তাদের ভাবসাবে মনে হয় যে রাজনৈতিক দল কিছুই না তারাই সবকিছু পারে। তারা কিছু উল্টাপাল্টা বললেও সেটি আমরা মনে করি না। তাদের বয়স কম বলতে পারে। তারা অনেক কৃতিত্বের দাবিদার বিশেষ করে ছাত্রলীগ যেভাবে তাদের উপর আক্রমণ করেছে, ছাত্রীদেরকে নাজেহাল করেছে। সবকিছু উপেক্ষা করে তারা যে বীরদর্পে রাজপথে থেকেছে এবং এই সরকারকে পতনে পলায়নে বাধ্য করেছে এজন্য তারা দেশবাসীর কাছ থেকে প্রশংসার দাবি রাখে, আর আমরাও প্রশংসা করি।’

You may also like

Leave a Comment

Rajneeti Ajkal is a leading news portal dedicated to providing comprehensive coverage of news, current affairs, political analysis, and the contemporary landscape of Bangladesh.

Rajneeti Ajkal, A Media Company – All Right Reserved. Designed and Developed by Rajneeti Ajkal