পিতার মতই বাংলাদেশকে বাকশাল ও ভারতের দাসে পরিণত করেছিল স্বৈরাচারী শেখ হাসিনা। যার ফলে শেখ হাসিনার পতনের পর ভারত হতাশ হয়ে বাংলাদেশে ধর্মীয় বিদ্বেষ ছড়াচ্ছে বলে মন্তব্য করেন বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপি’র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী।
আজ সোমবার বিকালে (৯ডিসেম্বর)মানিকগেঞ্জের শিবালয় উপজেলার রুপসা গ্রামে জুলাই গণআন্দোলনে নিহত ও আহতদের পরিবারকে আর্থিক সহায়তা প্রদান করার সময় তিনি এসব কথা বলেন।
বিএনপি’র ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান ও বিএনপি পরিবারের প্রধান পৃষ্ঠপোষক তারেক রহমানের নির্দেশনায় চব্বিশের ছাত্র-জনতার গণআন্দোলন চলাকালে আইন শৃঙ্খখলা বাহিনীর গুলিতে নিহত শহিদ রফিক, আফিকুল ইসলাম সাদ, ছায়াদ মাহমুদ খানসহ আহত সাকিব খান ও হাসনা হেনার পরিবারের সাথে সাক্ষাত ও আর্থিক সহায়তা প্রদান করা হয়।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে রহুল কবির রিজভী বলেন, খুনি শেখ হাসিনা সরকার বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়াকে দুই বছর কারাগারে আটকে রেখেছিলেন। বাসায় অবরুদ্ধ করে রাখার পরও তিনি আপোষ করেনি। এখন দেশ থেকে পালিয়ে গিয়ে ভারতে বসে চক্রান্ত করছেন। খুনি হাসিনা দুই হাজার ছাত্র জনতাকে হত্যা করেছেন। দেশটাকে ডুবিয়ে ভারতে পালিয়ে বিভিন্ন ইস্যু তৈরির অপচেষ্টা করছেন।
তিনি আরও বলেন, ভারত সরকার বলছে-আমাদের দেশে হিন্দুদের উপর নির্যাতন করা হচ্ছে। কিন্তু তাদের মত আমাদের দেশে এসব ঘটনা ঘটেনি। যেখানে তারা শত বছরের বাবরি মসজিদ ভেঙ্গে মন্দির করেছে। নির্বিচারে তারা মানুষ হত্যা করেছে। এখন তারা বাংলাদেশের খুনি হাসিনার পতনের পর আবোল-তাবোল বলছে ।