নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না বলেছেন, এতবড় অভ্যুত্থানের পর আমরা কারও চাঁদাবাজি, দখলদারিত্ব ও গুন্ডামি দেখতে চাই না। আমরা একটা ভালো ভোট চাই, কল্যাণ রাষ্ট্র চাই। রাতের ভোট নয় দিনের ভোট চাই। যে ভোট মানুষ নির্বিঘ্নে দিতে পারে।
শনিবার দুপুরে খুলনা নগরীর উমেশচন্দ্র পাবলিক লাইব্রেরি মিলনায়তনে দলের মহানগর ও জেলা শাখার দ্বিবার্ষিক সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, কেউ বলছেন আগামী বছর নির্বাচন হবে, কেউ বলছেন ২০২৬ সালের মাঝামাঝি হবে। আমরা সেই পর্যন্ত অপেক্ষা করতে রাজি আছি।
মান্না বলেন, পুলিশ, আমলা ও ভূমি অফিসগুলো সংস্কার ও দুর্নীতিমুক্ত চাই। দ্রব্যমূল্য কমাতে অন্তর্বর্তী সরকারকে উদ্যোগ নিতে হবে। প্রতিবেশী দেশ হিসেবে ভারতের সঙ্গে ভালো সম্পর্ক চাই। কিন্তু বাংলাদেশ ভারতের পা চেটে চলবে না। দেশের সার্বভৌমত্বের প্রশ্নে আমরা সবাই ঐক্যবদ্ধ। ধর্মের নামে আমরা বৈষম্য করি না।
মাহমুদুর রহমান মান্না বলেন, আমাদের গোয়াল ভরা গরু ছিল, গোলা ভরা ধান ছিল। ২০০ বছর ব্রিটিশের শাসন, ২ যুগ পাকিস্তানের শাসন আর ৫৪ বছর বিভিন্ন ধরনের দুঃশাসন, অপশাসন, ভুল শাসন ও লুটপাটে মরতে বসেছে দেশ। অর্থনীতি এখন সেরকম জীবিত নেই। সেই বাংলা, সেই বাংলাদেশ কি ফিরিয়ে আনা সম্ভব।
তিনি আওয়ামী লীগের সমালোচনা করে বলেন, তারা দেশ গড়ার চেয়ে নিজেদের গড়েছে বেশি। উন্নয়নের নামে লুটপাট করেছে। গণতন্ত্রের সবকিছু ধংস করেছে। পালিয়ে গেছেন শেখ হাসিনা, পালিয়ে যাওয়া ছাড়া পথ ছিল না। দেশে থাকলে হাড্ডি-মাংসও থাকতো না। শেখ হাসিনা কষ্টে আছেন, কারণ তিনি জনগণকে ১০০ গুণ বেশি কষ্ট দিয়েছেন। যারা বলে শেখ হাসিনা ফিরে আসবে, আমি তো বলি পারলে আসেন।
পরে মহানগর কমিটিতে ড. মো. জাকির হোসেন সভাপতি ও কাজী মোতাহার রহমান বাবু সাধারণ সম্পাদক এবং জেলা কমিটিতে আব্দুল মজিদ হাওলাদার সভাপতি ও আব্দুল হান্নান সাধারণ সম্পাদক হিসেবে মনোনীত হন। দলের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক তাদের নাম ঘোষণা করেন।
সম্মেলনে সভাপতিত্ব করেন দলের মহানগর আহবায়ক ড. মো. জাকির হোসেন। এতে বিশেষ অতিথি ছিলেন দলের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক শহীদুল্লাহ কায়সার, দপ্তর সম্পাদক এস এম মহিদুজ্জামান মহিদ। সম্মেলনে কেন্দ্রীয় ও স্থানীয় নেতারা বক্তব্য রাখেন।