দীর্ঘ ১৩ বছর পর আগামী ২৮ ডিসেম্বর দেশে আসছেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান, সাবেক মন্ত্রী কাজী শাহ মোফাজ্জল হোসেন কায়কোবাদ। ওই দিন সকাল ১১টায় ঢাকায় হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছবেন তিনি। সেখান থেকে তিনি বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের মাজার জিয়ারত শেষে মুরাদনগর গিয়ে তার বাবা-মায়ের কবর জিয়ারত করবেন।
আজ বুধবার মুরাদনগরে সচেতন এলাকাবাসীর ব্যানারে উপজেলা সদরে সংবাদ সম্মেলন হয়।
ওই সংবাদ সম্মেলনে কায়কোবাদের দেশে ফেরার তথ্য জানানো হয়েছে। এতে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত কর্মকর্তা হারুনুর রশিদ।
তিনি বলেন, ‘২০০৮-এর মঈন-ফখরুদ্দীন সরকারের সাজানো নির্বাচনে যখন সারা দেশেই পরিকল্পিতভাবে ধানের শীষের ভোট নৌকায় গণনা করে আওয়ামী লীগকে জয়ী করা হয়। সে সময়েও আল্লাহর রহমতে মুরাদনগরের আপামর জনতার প্রতিরোধের মুখে কুমিল্লা-(৩) মুরাদনগরে সঠিকভাবে ভোট গণনা করতে বাধ্য হয়।
আর সেই নির্বাচনেও পঞ্চমবারের মতো সংসদ সদস্য নির্বাচিত হোন কাজী শাহ মোফাজ্জল হোসেন কায়কোবাদ। আর সেই বিজয় তার জন্য কাল হয়ে দাঁড়ায়। সে কারণেই ২০১০ সালে পতিত ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনা সংসদে দাঁড়িয়ে সাবেক মন্ত্রী কাজী শাহ মোফাজ্জল হোসেন কায়কোবাদকে নিয়ে বিষোদগার করেন এবং বিডিআর হত্যাকাণ্ডের সাথে তাকে জড়িয়ে কল্পিত বক্তব্য দেন। এর পরই ২০০৪ সালের ২১ আগস্টের গ্রেনেড হামলা মামলায় অর্ধযুগ পর পরিকল্পিতভাবে তৃতীয় চার্জশিটে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ও কাজী শাহ মোফাজ্জল হোসেন কায়কোবাদের নাম সংযুক্ত করেন।
তিনি বলেন, কায়কোবাদকে বরণ করতে ব্যাপক প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে। বিমানবন্দরে তাকে দলের নেতাকর্মীরা স্বাগত জানাবেন।