ফ্যাসিবাদী খুনি হাসিনার প্রেমে মরিয়া ভারত। তাই পাসপোর্ট বাতিল হওয়ার পরও ভিসার মেয়াদ বাড়িয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার বেলা দুইটায় ঢাকার দোহারের জয়পাড়া ডিগ্রী কলেজ ছাত্রদলের নবীনবরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী এ কথাগুলো বলেন।
রুহুল কবির রিজভী বলেন, হাসিনা সরকার দেশকে শুধু লুটপাটের আখড়ায় পরিণত করেনি। মানুষ খুন, গুম ও রাজনৈতিক দেউলিয়া বানিয়ে পালিয়ে ভারতে আস্তানা করেছে। ভারতের স্বার্থে হাসিনা ও তাঁর সরকার সবকিছুই দিয়েছে, তাই সে লোভ ভারত ভুলতে পারে না। তা না হলে এমন একজন খুনি মহিলাকে ভারত কী করে আশ্রয় দেয়?
বিএনপির এই নেতা আরও বলেন, ‘যখন বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকার হাসিনাকে ফেরত পাঠাতে চিঠি দেয়, সেই সেময় তারা এই খুনির ভিসার মেয়াদ বাড়ায়। এতেই বোঝা যায়, গত ১৫ বছরে ভারতকে কতটা স্বার্থ দিয়েছে শেখ হাসিনা। যার নির্দেশে ছাত্র, শ্রমিক, বৃদ্ধ ও শিশুকে গুলি করে নির্মমভাবে খুন করা হয়, সেই খুনের রানিকে ভারত আগলে রাখে।’
রুহুল কবির রিজভী আরও বলেন, ‘শেখ হাসিনার পরিবার ও তার স্বজনেরা দেশের মানুষের টাকা পাচার করেছে। ভাগনি টিউলিপ সিদ্দিক তার বড় প্রমাণ। সে ও তার বোন যুক্তরাজ্যে ক্ষমতার অপব্যবহার করে ফ্ল্যাট উপহার নেয়। জুলাই–আগস্টে হত্যার সঙ্গে জড়িত, এমন একজন মহালুটের সরদার হাসিনার কি বিচার এ দেশে হবে না। ভারত কয় দিন তাকে আশ্রয় দিবে।’ এ সময় তিনি ইউনূস সরকারকে দ্রুত নির্বাচন দিয়ে জনগণের নির্বাচিত প্রতিনিধির কাছে ক্ষমতা হস্তান্তর করার দাবি জানান।
অনুষ্ঠানের বিশেষ অতিথি বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা কণ্ঠশিল্পী বেবী নাজনীন বলেন, খালেদা জিয়া একজন আপসহীন নেত্রী। তার প্রমাণ একজন পালালেন দেশ ছেড়ে। আর উনি সসম্মানে কারাবন্দী থেকে জনতার পাশে রইলেন। তাই তিনি আজ জননন্দিত। তিনি দ্রুত খালেদা জিয়ার সুস্থতা কামনা করেন।
ঢাকা জেলা বিএনপির সভাপতি খন্দকার আবু আশফাক বলেন, বর্তমান সরকার একটি গোষ্ঠীর মদদে নির্বাচন বিলম্বিত করার চেষ্টা করছে। আপনারা জনগণের সঙ্গে টালবাহানা করলে শেখ হাসিনার মতো পরিণতি হবে। পালানোর পথ পাবেন না।
ছাত্রদলের নেতা–কর্মীদের উদ্দেশে আবু আশফাক বলেন, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের সুষ্ঠু পরিবেশ বজায় রাখাই তাঁদের কাজ। ছাত্রলীগের মতো দলবাজি ও ফাও খাওয়ার সংগঠন ছাত্রদল নয়।
জয়পাড়া ডিগ্রী কলেজ ছাত্রদলের সভাপতি সৌমিক ভুইয়ার সভাপতিত্বে এবং সাধারণ সম্পাদক আসাদুজ্জামানের সঞ্চালনায় উপস্থিত ছিলেন বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতা গিয়াস আহমেদ, জাসাস কেন্দ্রীয় নেতা সালাহউদ্দিন মোল্লা, কেন্দ্রীয় ছাত্রদলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক রাজু আহমেদ, ঢাকা জেলা দক্ষিণ ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক শফিকুল ইসলাম, নবাবগঞ্জ বিএনপির নেতা খন্দকার আবুল কালাম, দোহার থানা বিএনপির সভাপতি নজরুল ইসলাম, সাধারণ সম্পাদক মাসুদ পারভেজ প্রমুখ।
অনুষ্ঠান শেষে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।