Home » জামায়াতের কার্যালয় ও সমর্থকদের দোকানে কর্মীদের দেওয়া তালা খুলে দিলেন বিএনপি নেতা

জামায়াতের কার্যালয় ও সমর্থকদের দোকানে কর্মীদের দেওয়া তালা খুলে দিলেন বিএনপি নেতা

by radesk
0 comments

চট্টগ্রামের মিরসরাইয়ের জোরারগঞ্জে জামায়াতের কার্যালয় ও দলীয় সমর্থকদের ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানে বিএনপির কর্মীদের দেওয়া তালা খুলে দিয়েছেন চট্টগ্রাম উত্তর জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক নুরুল আমিন। গতকাল সোমবার বিএনপি ও জামায়াতের নেতা-কর্মীদের মধ্যে সংঘর্ষের জের ধরে তালা দেওয়ার এ ঘটনা ঘটে। সংঘর্ষের পর রাতে জোরারগঞ্জে জামায়াত কার্যালয়ে তালা দেওয়া হয়। পাশাপাশি তালা দেওয়া হয় বাজারে জামায়াত–সমর্থকদের ছয়টি দোকানে।

আজ মঙ্গলবার বেলা একটায় চট্টগ্রাম উত্তর জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক নুরুল আমিন স্থানীয় বিএনপি ও জামায়তের নেতাদের সঙ্গে জোরারগঞ্জ বাজারে গিয়ে ছয়টি দোকান ও জামায়তের ইউনিয়ন কার্যায়ের তালা খুলে দেন।

এ বিষয়ে নুরুল আমিন প্রথম আলোকে বলেন, ‘সোমবার দুপুরে জোরারগঞ্জ বাজারে বিএনপি ও জামায়াতের দুটি পক্ষের মধ্যে যে ঘটনা ঘটেছে, তা দুঃখজনক। আমি এলাকার থাকলে এটি হতে দিতাম না। এ ঘটনার জের ধরে সন্ধ্যায় বিএনপির অতি উৎসাহী কিছু লোক জামায়াত–সমর্থিত ব্যবসায়ীদের কয়েকটি দোকানে তালা দিয়েছেন। যারাই এ কাজ করেছে, তারা মোটেও ঠিক করেনি। আমি দুপুরে জামায়াতের নেতাদের সঙ্গে বাজারে গিয়ে দোকানগুলোর তালা খুলে দিয়েছি।’

জামায়াত–বিএনপির নেতা–কর্মীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, জোরারগঞ্জ টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজে বালু ভরাটের কাজ ভাগাভাগি নিয়ে গতকাল দুপুরে জোরারগঞ্জ বাজারে বিএনপি নেতা মাসুকুল আলম ও জামায়াতের জামাল উদ্দিনের নেতৃত্বে দুই দলের নেতা-কর্মীদের মধ্যে সংঘর্ষ ঘটনা ঘটে। সে ঘটনায় উভয় পক্ষের পাঁচ নেতা–কর্মী আহত হন। সে ঘটনার জের ধরে গতকাল রাতে বিএনপির নেতা-কর্মীরা জোরারগঞ্জ বাজারে জোরারগঞ্জ ইউনিয়ন জামায়াতের কার্যালয় ও জামায়াত–সমর্থিত ব্যবসায়ীদের ছয়টি দোকানে তালা লাগিয়ে দেন। তার আগে ব্যবসায়ীদের পিটিয়ে ও হুমকি দিয়ে বাজারছাড়া করা হয়। তালা দেওয়া ছয়টি দোকান হচ্ছে আনোয়ার হোসেনের বেড–তোশকের দোকান, মো. শরীফের ওয়ার্কশপ, শাহানেওয়াজের কনফেকশনারি দোকান, মোহাম্মদ নবী ও সোহেলের আসবাব তৈরির দোকান এবং মো. ইউসুফের রড–সিমেন্টের দোকান।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে জোরারগঞ্জ থানা জামায়াতের আমির নুরুল হুদা হামিদী প্রথম আলোকে বলেন, ‘সোমবার জোরারগঞ্জ বাজারে ঠিকাদারি কাজ নিয়ে জামায়াত ও বিএনপির কিছু লোকের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। সেই সংঘর্ষে দুই পক্ষেরই ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। এর জের ধরে সোমবার সন্ধ্যায় জোরারগঞ্জ বাজারে আমাদের দলীয় কার্যালয় ও জামায়াত–সমর্থিত ব্যবসায়ীদের দোকানপাট বন্ধ করে দেয় বিএনপির লোকজন। এ বিষয়ে বিএনপির নেতাদের সঙ্গে যোগাযোগের পর তালা খুলে দেওয়া হয়েছে।’

এ বিষয়ে জানতে জোরারগঞ্জ ইউনিয়ন বিএনপির সদস্যসচিব মাসুকুল আলমের ফোনে বারবার কল করলেও তিনি ফোন ধরেননি।

জানতে চাইলে উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক শাহীদুল ইসলাম চৌধুরী বলেন, ‘গতকাল জেলায় আমাদের দলীয় কর্মসূচি থাকায় সারা দিনই চট্টগ্রাম শহরে ছিলাম। জোরারগঞ্জ বাজারে বিএনপির দুই পক্ষের সংঘর্ষের বিষয়ে ভালো জানি না। খোঁজ নিয়ে যতটুকু জেনেছি, ব্যবসায়িক দ্বন্দ্ব থেকে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। জোরারগঞ্জ বাজারে জামায়াতের নেতা-কর্মীদের দোকানে তালা দেওয়ার বিষয়টিও আমি জানি না। যদি তেমনটি হয়ে থাকে, তবে তা ঠিক হয়নি।’

You may also like

Leave a Comment

Rajneeti Ajkal is a leading news portal dedicated to providing comprehensive coverage of news, current affairs, political analysis, and the contemporary landscape of Bangladesh.

Rajneeti Ajkal, A Media Company – All Right Reserved. Designed and Developed by Rajneeti Ajkal