প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেছেন, বাংলাদেশ সেনাবাহিনী জাতির অহংকার ও বিশ্বাসের জায়গা। এ প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়নে ‘প্রশিক্ষণই সর্বোত্তম কল্যাণ’– এই মন্ত্রে উদ্বুদ্ধ হয়ে আধুনিক ও যুগোপযোগী প্রশিক্ষণের মাধ্যমে আভিযানিক দক্ষতা অর্জন করে দেশের সার্বভৌমত্ব রক্ষায় সর্বদা যুদ্ধের জন্য সেনাসদস্যদের প্রস্তুত রাখতে হবে।
গতকাল রোববার ৫৫ পদাতিক ডিভিশন আয়োজিত রাজবাড়ী সামরিক প্রশিক্ষণ এলাকায় সেনাবাহিনীর ম্যানুভার অনুশীলন প্রত্যক্ষ করেন প্রধান উপদেষ্টা। পরে সমাপনী বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর (আইএসপিআর) সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে।
প্রধান উপদেষ্টা বলেছেন, আভিযানিক দক্ষতা, সাহসিকতা ও পেশাদারিত্ব অর্জনে সেনাসদস্যদের প্রশিক্ষণ হতে হবে বাস্তবসম্মত। তিনি আশা প্রকাশ করেন, বাংলাদেশ সেনাবাহিনী প্রশিক্ষণের এই লক্ষ্য সামনে রেখেই এগিয়ে চলবে। অনুশীলনে অংশগ্রহণকারী সেনাসদস্যদের দক্ষতা ও উচ্চমানের প্রশিক্ষণের প্রশংসা করেন ড. ইউনূস।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, প্রধান উপদেষ্টা অনুশীলনস্থলে পৌঁছালে তাঁকে অভ্যর্থনা জানান সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান, নৌবাহিনী প্রধান অ্যাডমিরাল এম নাজমুল হাসান, বিমানবাহিনী প্রধান এয়ার চিফ মার্শাল হাসান মাহমুদ খান এবং ৫৫ পদাতিক ডিভিশন ও এরিয়া কমান্ডার, যশোর এরিয়া মেজর জেনারেল জে এম ইমদাদুল ইসলাম। এরপর সেনাবাহিনীর ম্যানুভার অনুশীলন ২০২৪/২৫-এ একটি পদাতিক ব্রিগেড গ্রুপের অনুশীলন প্রত্যক্ষ করেন ড. ইউনূস।