জামালপুরের বকশীগঞ্জে উঠান বৈঠকে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক পরিচয় দেওয়ার পর নিষিদ্ধঘোষিত ছাত্রলীগের এক নেতাকে আটক করে পুলিশে দিয়েছেন এলাকার লোকজন। গতকাল রোববার রাতে উপজেলার মালিরচর নয়াপাড়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
আটক মাহাফুজ রহমান বকশীগঞ্জ উপজেলা ছাত্রলীগের আহ্বায়ক কমিটির সদস্য। একই সঙ্গে তিনি বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের জামালপুর জেলা শাখার সদস্য পদেও আছেন।
পুলিশ ও স্থানীয় কয়েকজন বাসিন্দা জানান, গতকাল রাতে উপজেলার মালিরচর নয়াপাড়া এলাকায় মাদকবিরোধী একটি উঠান বৈঠক চলছিল। এতে উপস্থিত ছিলেন বকশীগঞ্জ থানা-পুলিশের কর্মকর্তারাও। সেখানে মাহাফুজ রহমান গিয়ে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক হিসেবে পরিচয় দেন। পরে উপস্থিত ছাত্ররা তাঁকে চিনতে পারেন। জিজ্ঞাসাবাদের একপর্যায়ে তিনি ছাত্রলীগের সঙ্গে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেন। পরে লোকজন তাঁকে পুলিশে সোপর্দ করেন।
মাহাফুজের আটকের বিষয়ে চার সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি করা হয়েছে। কমিটি আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে প্রতিবেদন দেবে। ছাত্রলীগের সঙ্গে সম্পৃক্ততা পাওয়া গেলে তাঁর বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
মীর ইসহাক হাসান ইখলাস, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের জামালপুর জেলা শাখার আহ্বায়ক
এ বিষয়ে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের জামালপুর জেলা শাখার আহ্বায়ক মীর ইসহাক হাসান ইখলাস বলেন, ‘মাহাফুজ আমাদের কমিটির তালিকায় শেষের দিকে আছেন। তাঁর আটকের বিষয়ে চার সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি করা হয়েছে। কমিটি আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে প্রতিবেদন দেবে। ছাত্রলীগের সঙ্গে সম্পৃক্ততা পাওয়া গেলে তাঁর বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
বকশীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা খন্দকার শাকের আহমেদ বলেন, ওই বৈঠকে ছাত্র-জনতার সঙ্গে সমন্বয়ক পরিচয় দিয়ে মাহাফুজও প্রবেশ করেছিলেন। পরে ছাত্র-জনতাই তাঁকে চিহ্নিত করে পুলিশের কাছে সোপর্দ করেছেন। প্রাথমিকভাবে নিষিদ্ধঘোষিত ছাত্রলীগের সঙ্গে তাঁর সম্পৃক্ততা পাওয়া গেছে। তাঁর বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।