যশোরের কেশবপুর পৌরসভার সাবেক কাউন্সিলর কবির হোসেনকে লোহার পাইপ দিয়ে পিটিয়ে পা থেঁতলে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। গতকাল সোমবার বিকেল সাড়ে পাঁচটার দিকে শহরের উপজেলাপাড়া থেকে তাঁকে তুলে নিয়ে পেটানো হয় বলে স্বজনেরা অভিযোগ করেন। পরে হাসপাতাল থেকে তাঁকে থানায় নিয়ে পুরোনো একটি মামলায় গ্রেপ্তার দেখায় পুলিশ।
কবির হোসেন কেশবপুর পৌরসভার ৩ নম্বর ওয়ার্ডের সাবেক কাউন্সিলর ও পৌরসভার সাবদিয়া এলাকার দবির উদ্দিনের ছেলে। তিনি আওয়ামী লীগের কোনো পদ–পদবিতে না থাকলেও দলটির সমর্থক ছিলেন।
কবিরের স্বজনেরা অভিযোগ করে বলেন, গতকাল বিকেলে শহরের উপজেলাপাড়া থেকে পৌর স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি জাহাঙ্গীর হোসেনসহ কয়েকজন কবিরকে তুলে নিয়ে যান। পরে খাদ্যগুদামের পাশে নিয়ে লোহার রড ও প্লায়ার্স দিয়ে পিটিয়ে পা থেঁতলে দেওয়া হয়। স্থানীয় লোকজন তাঁকে উদ্ধার করে কেশবপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান। ছেলেকে দেখতে গেলে তাঁদের হাসপাতালের সামনে আটকে দেওয়া হয়। পরে দিবাগত রাত ১২টার দিকে কেশবপুর থানা-পুলিশ কবিরকে হাসপাতাল থেকে থানায় নিয়ে যায়।
তবে স্বেচ্ছাসেবক দল নেতা জাহাঙ্গীর হোসেন কবির হোসেনকে তুলে নিয়ে যাওয়ার অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। তিনি বলেন, উপজেলাপাড়ায় নারীঘটিত ঘটনায় জড়িত থাকায় স্থানীয় লোকজন কবিরকে ধরে এনে মারধর করেন। তিনি তখন ঘটনাস্থলেই ছিলেন না। কবির বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের সময় তাঁকেসহ স্থানীয় লোকজনের ওপর হামলা করেছিলেন বলে তিনি অভিযোগ করেন।
জানতে চাইলে কেশবপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আনোয়ার হোসেন প্রথম আলোকে বলেন, কবির হোসেনকে পুরোনো একটি মামলায় গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাঁকে যশোর আদালতে পাঠানো হবে। তিনি বলেন, কবিরের পায়ে এক্স-রে করা হয়েছে, তেমন কোনো সমস্যা নেই বলে জানা গেছে।