বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, অন্তর্বর্তী সরকার ইচ্ছা করে নির্বাচন বিলম্বিত করছে বলে মানুষের মধ্যে ধারণা তৈরি হচ্ছে। গতকাল জাতীয় প্রেস ক্লাবে এক আলোচনা সভায় তিনি এ কথা বলেন। ‘বহু দলীয় গণতন্ত্রের প্রবক্তা, স্বাধীনতার ঘোষক শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের স্বাধীনতা সার্বভৌমত্ব রক্ষা ও ২৪-এর ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের চেতনায় সকলকে ঐক্যবদ্ধ করে সকল ষড়যন্ত্র প্রতিহত করা’ শীর্ষক এক আলোচনা সভার আয়োজন করে জাতীয় গণতান্ত্রিক পার্টি (জাগপা)। বিএনপির মহাসচিব বলেন, এটি আমার ধারণা নয়। দেশের মানুষের মাঝে ধারণা তৈরি হচ্ছে যে সরকার ইচ্ছাকৃতভাবে নির্বাচন প্রক্রিয়াকে বিলম্বিত করছে। এটা সঠিক নয়। কিন্তু একই সঙ্গে এটা মানুষের মধ্যে আশংকা সৃষ্টি করেছে।
ভোটার হওয়ার জন্য সর্বনিম্ন বয়স কমিয়ে ১৭ বছর করা উচিত বলে প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস যে বক্তব্য দিয়েছেন তারও সমালোচনা করেন মির্জা ফখরুল। তিনি বলেন, প্রধান উপদেষ্টা প্রথমেই বলে দিচ্ছেন, ভোটারের বয়স ১৭ হলে ভালো হয়। আপনি যখন বলছেন, তখন নির্বাচন কমিশনের ওপর চাপ সৃষ্টি হয়। এটা ইলেকশন কমিশনের কাজ, তাদের উপর ছেড়ে দিন। ভোটার হওয়ার সর্বনিম্ন বয়স ১৮ বছর সকলের কাছে গ্রহণযোগ্য উল্লেখ করে তিনি বলেন, যদি কমাতে চান, সেটা নির্বাচন কমিশন প্রস্তাব করুক। রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে কথা বলেন। স্টেকহোল্ডারদের সঙ্গে কথা বলে এ বিষয়টা আনা উচিৎ ছিল, এটা ভালো হতো। তাহলে কোনো বিতর্কের সৃষ্টি হত না। মানুষের মনে এখন বেশি করে আশঙ্কা তৈরি হবে, এটা করতে গিয়ে আরও সময় যাবে, কালক্ষেপণ হবে। নতুন রাজনৈতিক দল গঠন নিয়ে চলমান আলোচনা প্রসঙ্গে ফখরুল বলেন, নির্বাচন প্রক্রিয়ায় আরও দুই-তিনটি দল তৈরি হলে আমাদের কোনো আপত্তি নেই। ১০০ বা ২০০ হলেও আমাদের আপত্তি নেই। দলগুলো কতটা কাজে লাগবে তা জাতি বিচার করবে। বিএনপির এই নেতা বলেন, সংস্কার কোনো নতুন ধারণা নয়। কেউ যদি দাবি করে আমরা সংস্কার নিয়ে আসছি, এটা ভুল। সংস্কার একটি চলমান প্রক্রিয়া। সেজন্য তো নির্বাচন বন্ধ হয়ে থাকতে পারে না। দিনের পর দিন একটি অনির্বাচিত সরকার হাতে দেশ চালাতে দিতে পারি না। আয়োজক দলের সভাপতি লুৎফর রহমানের সভাপতিত্বে সভায় আরও বক্তব্য রাখেন জাতীয় পার্টির (কাজী জাফর) চেয়ারম্যান মোস্তফা জামাল হায়দার, বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আমান উল্লাহ আমান, এনপিপির চেয়ারম্যান ড. ফরিদুজ্জামান ফরহাদ, জাগপার প্রেসিডিয়াম সদস্য খন্দকার আবিদুর রহমান, আ স ম মেজবাহ উদ্দিন, বাংলাদেশ গণতান্ত্রিক পার্টির সাংগঠনিক সম্পাদক মীর আমির হোসেন আমু প্রমুখ।