তাবলিগ জামাতের বিবদমান দুই পক্ষের বিষয়ে নির্দেশনা দিয়েছে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। আজ বৃহস্পতিবার বিকেলে এ নির্দেশনা দেওয়া হয়।
আগামীকাল শুক্রবার থেকে কাকরাইল মসজিদে তাবলিগ জামাতের মাওলানা সাদ কান্ধলভীর অনুসারীদের ‘শবগুজারি’ বা রাত্রিযাপনের কর্মসূচি ছিল। তাঁদের এই কর্মসূচি থেকে বিরত থাকতে বলা হয়েছে।
অন্যদিকে মাওলানা মোহাম্মদ জোবায়েরপন্থীরা টঙ্গীর ইজতেমা ময়দানে হামলা ও তিনজনের খুনের ঘটনায় সাদ অনুসারীদের গ্রেপ্তার, বিচারসহ আরও কিছু দাবিতে শুক্রবার থেকে কাকরাইল মসজিদসহ ওই এলাকায় অবস্থান নেওয়ার ঘোষণা দিয়েছিলেন। তাঁদের বড় জমায়েত থেকে বিরত থাকতে বলা হয়েছে। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ‘শান্তিশৃঙ্খলা রক্ষার্থে’ এ নির্দেশনা জারি করে।
সাদপন্থীদের নেতা সৈয়দ ওয়াসিফুল ইসলাম ও শুরায়ী নেজামের মাওলানা মোহাম্মদ জোবায়েরের নামে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে পৃথক চিঠি দেওয়া হয়।
সৈয়দ ওয়াসিফুল ইসলামকে দেওয়া চিঠিতে বলা হয়, ‘ শুক্রবার থেকে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত কাকরাইল মসজিদে মাওলানা সাদ অনুসারীদের শবগুজারিসহ (রাত্রিযাপন) তাবলিগ জামাতের সব কার্যক্রম থেকে বিরত থাকার জন্য নির্দেশক্রমে অনুরোধ করা হলো।’
মাওলানা মোহাম্মদ জোবায়েরকে চিঠি দেওয়া হয়। চিঠির অনুলিপি ধর্ম মন্ত্রণালয়, সশস্ত্র বাহিনী বিভাগ, পুলিশের মহাপরিদর্শক, প্রতিরক্ষা গোয়েন্দা মহাপরিদপ্তর (ডিজিএফআই), বিজিবি, এনএসআই, র্যাবের মহাপরিচালকসহ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের দেওয়া হয়।
তাবলিগ জামাতের ভারতের মাওলানা সাদ কান্ধলভী ও ঢাকার কাকরাইলের মাওলানা জোবায়েরপন্থীদের মধ্যে ২০১৮ সাল থেকে বিরোধ চলছিল। ১৭ ডিসেম্বর দিবাগত ভোররাতে তা সংঘাত ও প্রাণহানিতে রূপ নেয়। এতে সাদপন্থীদের হামলায় তিনজন নিহত হন।