বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় কর্ম পরিষদ ও মজলিশে শুরা সদস্য এবং ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের সেক্রেটারি ড. মু. শফিকুল ইসলাম মাসুদ তার জেলজীবন ও রিমান্ডের অভিজ্ঞতা স্মৃতিচারণ করেছেন।
একটি বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেলকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, ২০০০ সালের দিকে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার সময় ইসলামী ছাত্রশিবিরের রাজনীতিতে সম্পৃক্ত থাকার কারণে এক মিছিল থেকে পুলিশ তাকে গ্রেপ্তার করে। রমজান মাসে রোজা রাখা অবস্থায় ইফতারের আগে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। রিমান্ডে একজন ওসি তাকে হুমকি দিয়ে বলেছিলেন, “আপনাকে এমন অবস্থা করব হাত-পা ভেঙে আপনাকে রাস্তায় বসিয়ে ভিক্ষা করাব।”
মাসুদ আরও জানান, জেলখানায় তাকে চুরি ও ছিনতাইয়ের অভিযোগে আটক কিশোর অপরাধীদের সেলে রাখা হয়েছিল। প্রথমে এটি তার জন্য কঠিন হলেও পরে তিনি ঐ সেলের ২৬ জন আসামিকে নামাজের জন্য দাওয়াত দেন। তাদের সকলেই ক্রমান্বয়ে নামাজ শুরু করেন এবং এমনকি তাহাজ্জুদের নামাজও পড়তে শুরু করেন।
তিনি আরও জানান, তৎকালীন এক আওয়ামী লীগ নেতা মাদক মামলায় অভিযুক্ত তার সন্তানকে শুধরানোর জন্য মাসুদের সেলের সঙ্গে রাখতে জেলারকে অনুরোধ করেছিলেন।
জেল যাওয়ার পর তার কলেজ শিক্ষক বাবা প্রথমে মানসিকভাবে ভেঙে পড়েছিলেন। পরে মাসুদের পাঠানো চিঠি ও পরিবারের সদস্যদের মাধ্যমে বিষয়টি মেনে নিয়ে তিনি স্বাভাবিক হন।
তিনি উল্লেখ করেন, যারা তাদের ওপর নির্যাতন করেছে, তাদের প্রতি ছাত্রশিবিরের ইতিবাচক আচরণের আদর্শই বড় সফলতা হিসেবে কাজ করেছে।