বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেছেন, আমরা সরকারকে দুর্বল করতে চাই না। আমরা চাই, তারা সফলভাবে একটি নির্বাচন করুক, আমরা সর্বাত্মক সহযোগিতা করব। এই সহযোগিতাকে কেউ যদি দুর্বলতা ভাবে অথবা এর আড়ালে যদি কোনো দুষ্টগ্রহের মধ্য দিয়ে গণতন্ত্র ব্যাহত হয় এবং জনগণের যে মালিকানা ভোটের মাধ্যমে প্রতিষ্ঠা করা, সেই বিষয়ে যদি অসন্তোষজনক কিছু দেখি, তখন আমরা চুপ করে ঘরে বসে থাকতে পারব না।
মঙ্গলবার জাতীয় প্রেস ক্লাবের জহুর হোসেন চৌধুরী হলে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী নাগরিক আন্দোলন আয়োজিত ‘বাংলাদেশি জাতীয়তাবাদ ও রাজনীতি’ শীর্ষক জাতীয় সেমিনারে তিনি এসব কথা বলেন।
গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেন, বৈষম্যের আড়ালে আরেকটি বৈষম্য সৃষ্টির চেষ্টা আমার মনে হয় চলমান। দৃশ্যমান শত্রুকে মোকাবিলা করা সহজ, কিন্তু অদৃশ্য শত্রুকে শনাক্ত করা এবং তারপর মোকাবিলা করতে হয়। আমরা কিন্তু এখনো কোনোটাই শনাক্ত করতে পারিনি। শুধু অনুমান করছি, একটা কিছু ঘটছে, একটা কিছু হচ্ছে।
তিনি বলেন, বর্তমান সরকারের উপদেষ্টাদের মধ্যে যথেষ্ট সমন্বয়ের ঘটতি আছে। যার যার অবস্থান থেকে কথা বলছেন। কিন্তু সরকারের যে কথা, সরকারের মুখ থেকে প্রতিধ্বনিত হবে তেমনটা আমার কাছে মনে হচ্ছে না। সব উপদেষ্টা যে সমগুরুত্বপূর্ণ সেটিও মনে হয় না। প্রধান উপদেষ্টাকে শক্তিশালী মনে হয়েছে এক সময়, এখন মনে হয় না।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির এই সদস্য বলেন, জাতি যদি দ্বিধাবিভক্ত হয়, তাহলে যেকোনও আগ্রাসী শক্তি শোষণ করতে পারে। যেটা সর্বশেষ ছিল ভারত। আওয়ামী সেই অভয়ারণ্য সৃষ্টি করেছিল।
এ সময় বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী নাগরিক আন্দোলনের সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।