উপজেলায় চলছে সাজ সাজ রব। উৎসবের আমেজ বিরাজ করছে চারদিকে। চলছে প্রার্থীদের মধ্যে সৌজন্য বিনিময়। রাস্তার মোড়ে চায়ের আড্ডায় খোশগল্পের মাঝে চলছে আগামী পথচলার কৌশল নির্ধারণ। কারণ দুই দশক পর জয়পুরহাটের আক্কেলপুর উপজেলা ও পৌর বিএনপির ত্রি-বার্ষিক কাউন্সিল অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে।
আগামীকাল ২৫ ডিসেম্বর আক্কেলপুর ফজরউদ্দিন (এফইউ) পাইলট সরকারি উচ্চবিদ্যালয়ে এই ত্রি-বার্ষিক কাউন্সিলের আয়োজন করা হয়েছে। কাউন্সিলকে ঘিরে দলটির তৃণমূল পর্যায়ের নেতাকর্মীদের মধ্যে উৎসাহ-উদ্দীপনা বিরাজ করছে।
দলটির ত্রি-বার্ষিক কাউন্সিলে সভাপতি-সাধারণ ও সাংগঠনিক সম্পাদক-এই তিনটি পদে গোপন ব্যালেটে ভোট হবে। ইতিমধ্যে এই তিনটি পদের প্রার্থীদের মনোনয়ন বৈধ করে তাদের প্রতীক বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। প্রার্থীরা পোস্টার ছাপিয়েছেন। প্রার্থীরা নিজে ও তার কর্মী-সমর্থকরা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমেও প্রতীক সংবলিত পোস্টার দিয়ে প্রচারণা চালাচ্ছেন।
আক্কেলপুর উপজেলা ও পৌর বিএনপি ত্রি-বাষিক কাউন্সিলের প্রধান নির্বাচন কমিশনার এ এইচ এম ওবায়দুর রহমান সুইট জানান, উপজেলা ও পৌর বিএনপির কাউন্সিল একইসঙ্গে অনুষ্ঠিত হবে। কাউন্সিলের উপজেলা ও পৌর বিএনপির সভাপতি-সাধারণ সম্পাদক ও সাংগঠনিক সম্পাদক পদে গোপন ব্যালটে ভোট হবে।
উপজেলা বিএনপির সভাপতি পদে চারজন প্রার্থী হয়েছেন। তারা হলেন-কামরুজ্জামান কমল (সাইকেল), আলমগীর চৌধুরী বাদশা (চেয়ার), এম কেরামত আলী (ঘোড়া) ও আবু তালেব মন্ডল ( ঘড়ি)। সাধারণ সম্পাদক পদে তিনজন প্রার্থী হলেন-আমিনুর রশিদ ইকু (ছাতা), রফিকুল ইসলাম চপল (ফুটবল) ও আরিফ ইফতেখার আহাম্মদ রানা (মোরগ)। সাংগঠনিক সম্পাদক পদে পাঁচজন প্রার্থী হলেন-মামুনুর রশিদ পিন্টু (হাতি), একে আজাদ (আম), মোশারফ হোসেন (কাঁঠাল), সামিউল হাসান (আনারস) ও মিজানুর রহমান মজনু (তাল)।
পৌর বিএনপির সভাপতি পদ তিনজন প্রার্থী হলেন-মো. আব্দুল ওয়াহেদ প্রামাণিক (সাইকেল), মো. আফাজ উদ্দিন (চেয়ার) ও আবু রাসেল বিদ্যুৎ চৌধুরী (ঘোড়া)। সাধারণ সম্পাদক পদে তিনজন প্রার্থী হলেন-মামুনুর রহমান (ছাতা), আমিনুল ইসলাম পল্টু (মোরগ) ও আব্দুর রাজ্জাক (ফুটবল)। সাংগঠনিক সম্পাদক পদে দুইজন প্রার্থী হলেন-আবু রায়হান খাঁন (হাতি) ও আনিছুর রহমান (আনারস)।
উপজেলা বিএনপিতে ৩৫৫ জন ও পৌরসভায় ৬৩৯ জন ভোটার রয়েছেন। ২৫ ডিসেম্বর সকাল নয়টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত ভোট গ্রহণ চলবে। বিকেল তিনটায় জেলা বিএনপির আহ্বায়ক গোলজার হোসেন ত্রি-বার্ষিক কাউন্সিলের উদ্বোধন ঘোষণা করবেন। এরপর ভোটের ফলাফল ঘোষণা করা হবে।
বিএনপির রাজশাহী বিভাগীয় সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক ওবায়দুর রহমান চন্দন বলেন, বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের নির্দেশে আমরা দলকে সুসংগঠিত করছি এবং জনগণের আস্থা অর্জনে কাজ করে যাচ্ছি।
তিনি আরও বলেন, নেতা নির্বাচিত করতে গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া বেছে নেওয়া হয়েছে। এটি ভালো উদ্যোগ। এতে তৃণমূল পর্যায়ের নেতাকর্মীরা উচ্ছ্বসিত। তারা মূল্যায়ন পাচ্ছেন। যেন ভোট উৎসব সৃষ্টি হয়েছে। এভাবে দলে ও রাষ্ট্রের সব পর্যায়ে গণতান্ত্রিক পদ্ধতি ফিরে আসুক।