বাংলাদেশে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার হলে এবং অন্তর্বর্তীকালীন সরকার নির্বাচন আয়োজনের সিদ্ধান্ত নিলে, ভারতে আশ্রয় নেওয়া আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা দেশ ফিরবেন।
শেখ হাসিনার দেশে ফেরা নিয়ে রয়টার্সকে এই নতুন তথ্য জানিয়েছেন তার ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয়। যদিও এর আগে ডয়েচে ভেলেকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে জয় বলেছিলেন, তার নিজের বা শেখ পরিবারের কারও রাজনীতিতে ফিরে আসার আর সম্ভাবনা নেই।
শেখ হাসিনা দেশে ফিরলেও নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন কী না বা রাজনীতিতে সক্রিয় হবেন কী না সে বিষয়টি স্পষ্ট করেননি জয়। তবে দেশের এই ‘দুঃসময়ে’ বঙ্গবন্ধু পরিবারের সদস্যরা আওয়ামী লীগের নেতাকর্মী বা দেশের মানুষকে ছেড়ে যাবে না বলেও নিশ্চিত করেছেন তিনি। এও জানিয়েছেন, আগামী নির্বাচনে আওয়ামী লীগ অংশ নেবে।
প্রবল গণআন্দোলনের মুখে গত ৫ অগাস্ট পদত্যাগ করে দেশ ছাড়েন ১৫ বছরের বেশি সময় ধরে ক্ষমতায় থাকা শেখ হাসিনা। চারদিন ধরে দেশ সরকারশূন্য থাকার পর অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা হিসেবে বৃহস্পতিবার শপথ নেন মুহাম্মদ ইউনূস। দেশ পরিচালনায় ইউনূসের সঙ্গী হচ্ছেন ১৬ জন উপদেষ্টা, যাদের কাঁধে আগামী নির্বাচন অনুষ্ঠানের আয়োজন করার দায়িত্ব পড়েছে।
তবে শপথ নেওয়ার পরপরই সেই সরকার কতদিনের মধ্যে নির্বাচন দেবে, এই প্রশ্নে উপদেষ্টা পরিষদে স্থান পাওয়া বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের সমন্বয়ক নাহিদ ইসলাম বলেছেন, আগে রাষ্ট্রীয় কাঠামোর সংস্কার করা জরুরি, তারপর নির্বাচন করতে হবে।
যুক্তরাষ্ট্রে থাকা জয় বলেছেন, “আমার মা চলতি মেয়াদের পরই অবসরে যাওয়ার কথা ভেবেছিলেন। হ্যাঁ, এটা সত্যি যে আমি বলেছিলাম মা বাংলাদেশে ফিরবেন না। কিন্তু সারাদেশে আমাদের নেতা-কর্মীদের ওপর ক্রমাগত হামলার পর গত দুই দিনে অনেক কিছু বদলে গেছে। বাংলাদেশে গণতন্ত্রকে পুনরুদ্ধার করতেই হবে। তারপর মা ফিরে আসবেন।”
দিল্লিতে আশ্রয় নেওয়া শেখ হাসিনার এই মুহূর্তে অন্য কোথাও যাওয়ার পরিকল্পনা না থাকার বিষয়টিও ফের নিশ্চিত করেছেন জয়।
তিনি বলেন, “আপাতত তিনি ভারতে থাকছেন।”
শেখ হাসিনাকে আশ্রয় ও সুরক্ষা দেওয়ার জন্য ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ও তার সরকারের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়েছেন জয়।
এদিকে দিল্লিতে আশ্রয় নেওয়া শেখ হাসিনা যুক্তরাজ্য চলে যাবেন বলে ভারতীয় সংবাদমাধ্যমগুলো বলছিল। এর মধ্যে বৃহস্পতিবার পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর এবং ব্রিটিশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডেলিড ল্যামির মধ্যে বাংলাদেশ পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনার খবর এসেছে।