অন্তর্বর্তী সরকারের বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা এ এফ হাসান আরিফের মৃত্যুতে শোক জানিয়েছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। বর্তমান রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে তাঁর মতো একজন অভিজ্ঞ ও প্রাজ্ঞ আইনবিদের পৃথিবী থেকে চিরবিদায়ে দেশে শূন্যতার সৃষ্টি হলো বলে মন্তব্য করেছেন তিনি।
শুক্রবার রাতে নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে এক স্ট্যাটাসে হাসান আরিফের পরিবারবর্গের প্রতি শোক জানান তিনি।
তারেক রহমান লিখেছেন, অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা ও দেশের কৃতি আইনজ্ঞ এ এফ হাসান আরিফের মৃত্যুতে আমি তাঁর শোকার্ত পরিবারবর্গের প্রতি গভীর শোক ও সমবেদনা জ্ঞাপন করছি।
বর্তমান রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে তাঁর মতো একজন অভিজ্ঞ ও প্রাজ্ঞ আইনবিদের পৃথিবী থেকে চিরবিদায়ে দেশে শূন্যতার সৃষ্টি হলো মন্তব্য করে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়াম্যান বলেন, আইন পেশায় তাঁর অবদান সহকর্মী ও উত্তরপ্রজন্মের আইনজীবীদের মনে চিরজাগরুক হয়ে থাকবে। আইনের শাসনের ভাবনায় তাঁর অভিমত গণতান্ত্রিক রাজনৈতিক দলগুলোর শক্তি ও প্রেরণার উৎস হয়ে থাকবে।
তিনি আরো বলেন, আমি এ এফ হাসান আরিফ এর বিদেহী আত্মার মাগফিরাত কামনা করছি এবং শোকাহত পরিবারবর্গ, গুণগ্রাহী, ভক্ত ও শুভাকাঙ্খীদের প্রতি জানাচ্ছি গভীর সমবেদনা।
শুক্রবার (২০ ডিসেম্বর) বেলা ৩টার পর রাজধানীর ল্যাবএইড হাসপাতালে উপদেষ্টা হাসান আরিফের মৃত্যু হয়।
হার্ট অ্যাটাকে (হৃদ্রোগ) উপদেষ্টা হাসান আরিফের মৃত্যু হয় বলে জানিয়েছেন ল্যাবএইড হাসপাতালের মিডিয়া ম্যানেজার চৌধুরী মেহের এ খোদা। তিনি কালের কণ্ঠকে বলেন, ‘উপদেষ্টা এ এফ হাসান আরিফ অসুস্থ ছিলেন। তাকে ধানমণ্ডির ল্যাবএইড হাসপাতালে নিয়ে এলে বেলা তিনটা ৩৫ মিনিটে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। তাকে মৃত অবস্থাতেই হাসপাতালে আনা হয়।
উনার হার্ট অ্যাটাক হয়েছিল।
শুক্রবার বাদ এশা ধানমন্ডি ৭ নম্বর বায়তুল আমান মসজিদে তার প্রথম নামাজে জানাজা সম্পন্ন হয়। এতে প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. ইউনূসসহ অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টারা অংশ গ্রহণ করেন।
পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, প্রথম নামাজে জানাজা শেষে তার লাশ বারডেমের হিমঘরে রাখা হবে। শনিবার বেলা ১১টায় হাইকোর্ট প্রাঙ্গনে দ্বিতীয় নামাজে জানাজা অনুষ্ঠানের কথা রয়েছে।
এরপর বাদ জোহর তার লাশ মিরপুর বুদ্ধিজীবী কবরস্থানে দাফন করার কথা রয়েছে বলে জানিয়েছেন পরিবেশ বন ও জলবায়ু মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান।