ঢাকার বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় ইস্ট ওয়েস্ট ইউনিভার্সিটির শিহান এবং এআইইউবির সিমান্ত হত্যার বিচার ও দেশব্যাপী অরাজকতা-গুপ্তহত্যার প্রতিবাদে বিক্ষোভ মিছিল করেছে বাংলাদেশ খেলাফত ছাত্র মজলিস। গতকাল রবিবার (১৫ ডিসেম্বর) রাত ৯টায় পুরানা পল্টনস্থ কেন্দ্রীয় কার্যালয় থেকে শুরু হয়ে মিছিলটি জাতীয় প্রেস ক্লাব চত্বরে সমাবেশের মাধ্যমে শেষ হয়।
মিছিল পরবর্তী সমাবেশে সংগঠনের কেন্দ্রীয় সভাপতি মুহাম্মাদ কামাল উদ্দীন বলেন, গত পাঁচ আগস্ট ছাত্রজনতার রক্তের বিনিময়ে যে স্বাধীনতা এসেছে তাকে একটি কুচক্রী মহল নস্যাৎ করার চেষ্টা করছে। আন্দোলনকারীদের গুপ্ত হত্যা করা হচ্ছে।
তাদেরকে বিভিন্নভাবে হামলা করা হয়েছে। হাসনাত আব্দুল্লাহকে কুমিল্লা আর ঢাকায় হত্যা চেষ্টা করা হয়েছে। ইস্ট ওয়েস্টের শিক্ষার্থী শিহান আর এআইইউবির শিক্ষার্থী সিমান্তকে গুপ্ত হত্যা করা হয়েছে। অতর্কিত হামলা চালিয়ে তাদেরকে হত্যা করা হয়েছে।
আমরা স্পষ্ট বলতে চাই, ছাত্রজনতার রক্তের উপর এই সরকার প্রতিষ্ঠা হয়েছে। আন্দোলনকারীদেরকে রক্ষা করতে না পারলে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার ব্যর্থ হবে। যারা এইসব হত্যাকাণ্ডে জড়িত তাদেরকে দ্রুত আইনের আওতায় নিয়ে আসুন। নাহয় ছাত্র জনতা আবার মাঠে নামতে বাধ্য হবে।
তিনি আরো বলেন, আওয়ামী লীগ যে গণহত্যা চালিয়েছে তার বিচারের আগে বাংলার মাটিতে তাদের রাজনীতি চলতে দেওয়া যায় না। জুলাই-আগস্টে যারা হত্যাকাণ্ড চালিয়েছে, দ্রুত তাদের বিচার কার্যকর করতে হবে। ২০১৩ সালের ৫ মে যারা তৌহিদী জনতার উপর গণহত্যা চালিয়েছে তাদের বিচার করতে হবে। ২০০৯ সালে দেশপ্রেমিক সৈনিকদেরকে যারা হত্যা করেছে সেই বিডিআর হত্যাকাণ্ডের বিচার করতে হবে। আমরা স্বাধীনভাবে বসবাসের জন্য দেশকে স্বাধীন করেছি।
কোনো সাম্রাজ্যবাদীর তাঁবেদারি করার জন্য ছাত্রজনতা রক্ত দেয়নি।
একটি মহল ছাত্র জনতাকে বিভাজিত করার চেষ্টা করছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, যারা এখনো বিভাজনের রাজনীতি করতে চাচ্ছে তাদেরকে আমরা সাবধান করতে চাই, দেশের স্বাধীনতা সার্বভৌমত্বের প্রশ্নে আমরা সবাই এক। আমরা এক হয়ে লড়াই করব ইনশাআল্লাহ।
বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশে আরো উপস্থিত ছিলেন, কেন্দ্রীয় সভাপতি পরিষদ সদস্য মুহাম্মাদ আব্দুল আজিজ, মাহদী হাসান শিকদার, প্রশিক্ষণ সম্পাদক মুহাম্মাদ দিদারুল ইসলাম, বায়তুল মাল সম্পাদক রবিউল ইসলাম, সমাজকল্যাণ সম্পাদক মুহাম্মাদ আব্দুল হাই, প্রকাশনা সম্পাদক জাহিদুল ইসলাম, আইন ও মানবাধিকার সম্পাদক এহসানে রাব্বি মুইন, মাদরাসা বিষয়ক সম্পাদক মুশতাক আহমাদ, যুব মজলিস ঢাকা মহানগরীর রমনা থানার সভাপতি মুহাম্মাদ নাইম উদ্দিনসহ প্রমুখ।