পাবনার ভাঙ্গুড়া পৌরসভার সাবেক কাউন্সিলর সুলতান মাহমুদকে আটক করেছে পুলিশ। কিশোরগঞ্জের আদালতে দায়ের হওয়া একটি প্রতারণা মামলায় শুক্রবার (১৩ ডিসেম্বর) রাতে নিজ বাসা থেকে তাকে আটক করা হয়।
সুলতান পৌরসভার ৯ নম্বর ওয়ার্ড থেকে আওয়ামী লীগ সমর্থিত প্রার্থী হিসেবে ২০২১ সালে কাউন্সিলর নির্বাচিত হন। তিনি ওই ওয়ার্ডের চৌবাডিয়া মহল্লার বাসিন্দা।
স্থানীয়রা জানায়, দুই যুগ আগে সুলতান দরিদ্র ও কর্মহীন যুবক ছিলেন। এরপর তিনি অনলাইনে গরু ক্রয়-বিক্রয়ে দালালি শুরু করেন। পরবর্তীতে তিনি নিজেই অনলাইনে দেশের বিভিন্ন স্থানে গরু বিক্রি শুরু করেন। তার বিরুদ্ধে গরু বিক্রি নিয়ে ক্রেতাদের সঙ্গে প্রতারণার অনেক অভিযোগ রয়েছে।
একাধিক অভিযোগ ভাঙ্গুড়া থানা পুলিশের মাধ্যমে নিষ্পত্তি হয়। এভাবে অনলাইনে গরু বিক্রির ব্যবসায় রাতারাতি কোটিপতি হয়ে যান সুলতান। কয়েক কোটি টাকা খরচ করে সুলতান শহরের চৌবাড়ীয়া মহল্লায় চারতলা বিলাসবহুল বাড়ি করেছেন। এরই ধারাবাহিকতায় ২০২১ সালে
মোটা অংকের টাকা খরচ করে কাউন্সিলর নির্বাচিত হন সুলতান।
সুলতানের প্রতারণার বিষয়ে ভাঙ্গুড়া থানা পুলিশের সাবেক একাধিক কর্মকর্তা জানান, ভাঙ্গুড়ায় সুলতানসহ অনলাইনে গরু ব্যবসায়ীদের অনেকের বিরুদ্ধে বিভিন্ন সময়ে গরু বিক্রির বিষয়ে প্রতারণার অভিযোগ আসে। কেউ কেউ থানা পুলিশের দ্বারস্থ হলে বিষয়টি সমাধান চেষ্টা করা হয়।
ভাঙ্গুড়া থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. শফিকুল ইসলাম জানান, কিশোরগঞ্জ আদালতের একটি প্রতারণার মামলায় সুলতান মাহমুদ ওয়ারেন্টভুক্ত আসামি ছিলেন। তাই তাকে গ্রেপ্তার করে আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে।