শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (শাবিপ্রবি) শিক্ষার্থীরা পোষ্য কোটাসহ সব ধরনের অযৌক্তিক কোটা বাতিল, ভর্তি ফি, সেমিস্টার ফি এবং ক্রেডিট ফি যৌক্তিকভাবে কমানো ও আগামী দুই সেমিস্টার চার মাসে শেষ করার দাবিতে কঠোর হুঁশিয়ারি দিয়েছে।
বুধবার (১১ ডিসেম্বর) দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগার ভবনের সামনে আয়োজিত মানববন্ধনে শিক্ষার্থীরা এই দাবিগুলো উপস্থাপন করেন। তারা জানান, আগামী রোববারের মধ্যে দাবি পূরণ না হলে কঠোর কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে।
মানববন্ধনে সমাজকর্ম বিভাগের শিক্ষার্থী আজাদ শিকদারের সঞ্চালনায় বক্তব্য রাখেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কেন্দ্রীয় সমন্বয়ক আসাদুল্লাহ আল গালিফ, সহ-সমন্বয়ক ফয়সাল হোসেন, গণিত বিভাগের শিক্ষার্থী হাফিজুল ইসলাম, ব্যবসায় প্রশাসন বিভাগের মাহবুবুল ইসলাম পবন এবং ইংরেজি বিভাগের শাকিলসহ আরও অনেকে।
বক্তব্যে ফয়সাল হোসেন জানান, ২০২০-২১ সেশনে যেখানে ভর্তি ফি ছিল ৮ হাজার ১০০ টাকা এবং তত্ত্বীয় ক্রেডিট ফি ১০৫ টাকা, সেখানে ২০২৩-২৪ সেশনে এই ফি যথাক্রমে বেড়ে ১৮ হাজার ও ২০০ টাকায় দাঁড়িয়েছে। এটি সম্পূর্ণ অযৌক্তিক বলে তিনি উল্লেখ করেন।
পোষ্য কোটার বিষয়ে তিনি বলেন, “পোষ্য কোটাসহ সব অযৌক্তিক কোটা অবিলম্বে বাতিল করতে হবে। প্রশাসনকে এসব বিষয়ে পদক্ষেপ নিতে হবে, নয়তো শিক্ষার্থীরা বসে থাকবে না।”
আসাদুল্লাহ আল গালিফ বলেন, “আমরা অনেক ত্যাগের বিনিময়ে স্বাধীনতা অর্জন করেছি। স্বাধীনতার পরে আমাদের প্রত্যাশা ছিল প্রশাসন শিক্ষার্থীবান্ধব হবে। কিন্তু প্রশাসন বারবার শিক্ষার্থীদের যৌক্তিক দাবিগুলো উপেক্ষা করে যাচ্ছে। আমরা প্রশাসনকে জানাতে চাই, এসব ফি অবিলম্বে যৌক্তিক পর্যায়ে নিয়ে আসতে হবে।”
মানববন্ধন শেষে শিক্ষার্থীরা উপাচার্যের কাছে তিন দফা দাবির স্মারকলিপি প্রদান করেন। দাবি পূরণ না হলে কঠোর কর্মসূচি নেওয়ার হুঁশিয়ারি দেন তারা।