কেন্দ্রীয় যুবদলের সভাপতি মোনায়েম মুন্না বলেছেন, বাংলাদেশ হাইকমিশনের নিরাপত্তা দেওয়ার দায়িত্ব ভারতের। তারা সে নিরাপত্তা দিতে ব্যর্থ হয়েছে। ভারত প্রতিবেশী দেশ, কিন্তু বন্ধু হতে পারেনি। তারা তিস্তার পানি না দিলেও ফেনী নদী থেকে নিয়ে গেছে। আমরা জামদানি পাঠাই, ইলিশ পাঠাই। তারা ফেলানির লাশ পাঠায়।
বুধবার (১১ ডিসেম্বর) বিকালে আগরতলা অভিমুখে লং মার্চ কর্মসূচি শেষে আখাউড়া স্থলবন্দরের সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
বিকাল ৪টার দিকে ঢাকা থেকে আসা লং মার্চের গাড়ি বহর আখাউড়ায় প্রবেশ করে। তবে যানজটের কারণে সব গাড়ি বন্দর এলাকায় পৌঁছাতে পারেনি। এর আগে সকাল থেকে অন্তত ১৫টি জেলার বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের নেতৃবৃন্দ আখাউড়া আসতে থাকেন। দুপুরে বন্দর এলাকায় সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে অনুষ্ঠানের শুরু হয়। আগরতলা সহকারী হাই কমিশনে হামলা, জাতীয় পতাকা অবমাননা, মিডিয়ায় অপপ্রচার ও সাম্প্রদায়িক দাঙ্গার ষড়যন্ত্রের প্রতিবাদে বিএনপির তিন অঙ্গ সংগঠন-যুবদল, ছাত্রদল ও স্বেচ্ছাসেবক দল বুধবার এ লং মার্চ কর্মসূচির আয়োজন করে।
এ সময় মোনায়েম মুন্না বলেন, বাংলাদেশের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্বের জন্য দেশের জনগণ যে কোনো ঝুঁকি নিতে প্রস্তুত আছে। স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্বের প্রশ্নে আমরা আপোষহীন। আমাদের কাছে বাংলাদেশই প্রথম। বাংলাদেশ আমাদের প্রাণের স্পন্দন। স্বাধীনতাযুদ্ধ করে আমরা বাংলাদেশ পেয়েছি। আমরা কারও রক্তচক্ষুকে ভয় পাই না।
তিনি আরও বলেন, আমরা অবিলম্বে শেখ হাসিনাকে ভারত থেকে ফিরিয়ে এনে বিচারের আওতায় আনার জন্য অন্তর্বর্তী সরকারের প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি। আপনারা ভারত সরকারকে বলেন শেখ হাসিনা এবং তার দোসরদেরকে ফিরিয়ে দেয়ার জন্য। এদেশে আওয়ামী লীগের কোনো অস্তিত্ব নেই। এ দেশের মানুষ ভারতের আগ্রাসী মনোভাব মোকাবেলায় ঐক্যবদ্ধ। ভারতে বাংলাদেশের পতাকা পোড়ানোর সময় সেখানে পুলিশ ছিল নীরব। আবার যদি পতাকা অবমাননা হয়, তাবে আমরা এর কঠোর জবাব দিব।
কেন্দ্রীয় স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি এস,এম জিলানীর সভাপতিত্বে সমাবেশে আরও বক্তব্য দেন যুবদলের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক নুরুল ইসলাম নয়ন, কেন্দ্রীয় স্বেচ্ছাসেবক দলের সাধারণ সম্পাদক রাজীব আহসান, কেন্দ্রীয় ছাত্রদলের সভাপতি রাকিবুল ইসলাম রাকিব ও সাধারণ সম্পাদক নাছির উদ্দিন নাছির, কেন্দ্রীয় ছাত্রদলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক শ্যামল মালুম, কেন্দ্রীয় স্বেচ্ছাসেবক দলের সহসভাপতি ফখরুল ইসলামসহ অনেকে।