ভারতের উদ্দেশে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, আপনারা মনে করছেন আপনারা পেঁয়াজ বন্ধ করে দিলে বাংলাদেশের মানুষ তরকারিতে পেঁয়াজ ব্যবহার করতে পারবে না। আপনারা রসুন, আদা সয়াবিন তেল বন্ধ করে দিলে আমরা এগুলো আর রান্নায় ব্যবহার করতে পারব না, এটা তো আপনারা দুঃস্বপ্ন দেখছেন। আপনারা গরু রপ্তানি পাঁচ-ছয় বছর ধরে বন্ধ করে দিয়েছেন, বাংলাদেশের মানুষ ঠিকই গ্রামের বাড়িতে গরুর খামার, ছাগলের খামার গড়ে তুলেছে। এক কুরবানির ঈদেই এ দেশে ১ কোটি ২০ লাখ গবাদি পশু কুরবানি হয়।
শুক্রবার (৬ ডিসেম্বর) বেলা সাড়ে ১১ টার দিকে রাজধানীর গুলশানে ভারতীয় পণ্য বর্জনের দাবিতে এক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
প্রতিবেশী রাষ্ট্রের উদ্দেশে রিজভী আরও বলেন, আপনারা ভুলে যাবেন না বাংলাদেশের মানুষ অত্যন্ত শ্রম প্রিয়, কষ্ট প্রিয়, পেঁয়াজ রসুন আদা তারা নিজেরাই উৎপাদন করতে জানেন। আপনারা মনে করেন আপনারাই শুধু একটি দেশ পৃথিবীতে। আর কি দেশ নেই পৃথিবীতে; যাদের কাছ থেকে আমরা পেঁয়াজ আমদানি করতে পারব? যাদের কাছ থেকে আমরা রসুন ও তেল আমদানি করতে পারব? সেসব দেশ কি নেই? আপনারা মনে করেছেন এগুলো বন্ধ করে দিলে বাংলাদেশের মানুষের অবস্থা কাহিল হবে। অবস্থা কাহিল হয়েছে আপনাদের। আপনাদের নিউমার্কেটের কোনো দোকান চলে না,আপনাদের মার্কেটগুলো বন্ধ হওয়ার উপক্রম। বাংলাদেশের মানুষ ওই কলকাতায় গিয়ে ডলার খরচ করে তারা সেখানে কেনাকাটা করে চিকিৎসা করতে যায় হাসপাতালে। হাসপাতাল আর চলবে না। আপনারা বন্ধ করে দিয়ে মনে করেছেন বাংলাদেশের মানুষ অস্থির হয়ে গেছে। আসলে বাংলাদেশের মানুষ আনন্দিত। প্রয়োজন হলে থাইল্যান্ড যাবে, মালয়েশিয়া যাবে, ইন্দোনেশিয়া যাবে কিংবা অন্য দেশে যাবে চিকিৎসার জন্য। আপনাদের মত হিংসা দ্রোহী যারা আমাদেরকে ঘৃণা পোষণ করেন সেই দেশে মানুষ যেতে চায় না। কারণ রক্তমূল্যে স্বাধীনতা কেনা এই জাতি। এই জাতিকে আপনি ভয় দেখিয়ে আপনাদের নতজানু করবেন সেই জাতি বাংলাদেশ নয়।
বিএনপির অন্যতম এই জ্যেষ্ঠ নেতা বলেন, রিপাবলিক বাংলা বলেছে চট্টগ্রামকে ভারতের অংশ হিসেবে দাবি করা হয়েছে, আরও কত মিথ্যা অপপ্রচার চলছে। আমরা বলছি, একটি স্বাধীন সর্বজনীন দেশে আপনারা দাবি করলে আমি আগেও বলেছি আমরাও আমাদের নবাবের এলাকা ওই বাংলা বিহার উড়িষ্যা দাবি করব। এটা এটা তো আমাদের ন্যায্য পাওনা।এই কথাগুলো আমরা বলতে চাই না। অনেক সংগ্রাম আন্দোলন ব্রিটিশ বিরোধী সংগ্রাম এই উপমহাদেশে আমরা একসঙ্গে করেছি।
এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন বিএনপির সহ-সম্পাদক অমলেন্দু দাস অপু,স্বেচ্ছাসেবক দলের সহ-সভাপতি জাহিদুল কবির, ছাত্রদল নেতা তৌহিদ আওয়াল, রাজু আহমেদ প্রমুখ।