বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের মহাসচিব আল্লামা মামুনুল হক বলেছেন, দেশের তরুণ-যুবক, স্কুল-কলেজ-মাদরাসার ছাত্র ও খেটে খাওয়া শ্রমিকদের যখন হেলিকপ্টার থেকে গুলি করে হত্যা করা হয়, যখন জনগণের রক্তে এই দেশ ভাসছিল, তখন শাসক খাওয়ার জন্য তাঁর বাসায় ১২ পদের খাবার প্রস্তুত করেছিলেন। কারণ আওয়ামী লীগ রাষ্ট্রক্ষমতাকে ভোগের বস্তু মনে করেছিল।
গত মঙ্গলবার রাতে ফরিদপুরের সালথা উপজেলার গট্টি ইউনিয়নের বড় লক্ষণদিয়া মাঠে মাওলানা ছায়েনুদ্দিন ফাউন্ডেশন আয়োজিত ইসলামী মহাসম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে মামুনুল হক এসব কথা বলেন।
মামুনুল হক বলেন, ‘আমাদের দেশে যারা যখন ক্ষমতা পায়, বয়স যতই হোক তাদের চেহারার উজ্জ্বলতা বাড়তে থাকে।
ক্ষমতা হারানোর পর আবার তাদের চেহারা শুকিয়ে যায়। ৭৭ বছরের শেখ হাসিনা রাষ্ট্রক্ষমতায় থাকা অবস্থায় যেন প্রতিবছর তার বয়স কমছিল। ক্ষমতা ছেড়ে চলে যাওয়ার মাত্র এক বছর পর শেখ হাসিনার চেহারার দিকে তাকিয়ে দেইখেন, কেমন দেখা যায়।’
মামুনুল হক বলেন, ‘আমাদের দেশে ক্ষমতায় আসার পর রাজনৈতিক নেতারা ও তাদের সঙ্গে থাকা বেকার যুবকরা মনে করে, আগে অন্যরা চাঁদাবাজি করেছে, এখন থেকে আমরা করব, আমাদের লুটেপুটে খাওয়ার দিন এসেছে।
এর কারণ ইসলামী রাজনীতি আমাদের দেশের মানুষকে আমরা শেখাই নাই। যদি ইসলামী রাজনীতি জাতি বুঝত, তাহলে তারা মনে করত, এত দিন যা করেছি সব অন্যায়।’
হাফেজ মাওলানা রেজাউল হক বিন ছায়েনুদ্দিনের সভাপতিত্বে সম্মেলনে আরো বক্তব্য দেন ঢাকার ঢালকানগর মাদরাসার মুহতামিম মুফতি জাফর আহমেদ, বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের কেন্দ্রীয় যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা আতাউল্লাহ আমিন, খেলাফত যুব মজলিসের কেন্দ্রীয় প্রশিক্ষণ ও বায়তুল মাল সম্পাদক মাওলানা জহিরুল ইসলাম, ফরিদপুর খেলাফত মজলিসের সভাপতি মাওলানা আমজাদ হোসাইন প্রমুখ।