২০১৮ সালের ফেব্রুয়ারিতে পুলিশের ওপর হামলা ও গাড়ি ভাঙচুরের ঘটনায় দায়ের করা মামলা থেকে বিএনপির ৪৫ নেতাকর্মী ও সহযোগী সংগঠনকে অব্যাহতি দিয়েছেন আদালত।
রোববার (৫ জানুয়ারি) আইনজীবীরা বিএনপির নেতাদের পক্ষে আবেদন করলে ঢাকার অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মাহবুবুল ইসলাম এ মামলা থেকে তাদের অব্যাহতি দেওয়ার আদেশ দেন।
অব্যাহতি পাওয়া বিএনপি নেতাদের মধ্যে আছেন- বিএনপির সাবেক এমপি এ কে এম ফজলুল হক মিলন, শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানি, খায়রুল কবির খোকন, হাবিব-উন-নবী খান সোহেল, ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সদস্য সচিব রফিকুল আলম মজনু, যুবদলের সভাপতি সুলতান সালাউদ্দিন টুকু ও সাবেক সভাপতি সাইফুল আলম নীরব।
আবেদনে আইনজীবীরা বলেন, আসামিদের বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ মিথ্যা, বানোয়াট ও অস্পষ্ট। তাদের মক্কেলদের হয়রানি করতে এ মামলায় জড়ানো হয়েছে, তাই তাদের ডিসচার্জ পিটিশন মঞ্জুর করা হোক। তবে রাষ্ট্রপক্ষ আবেদনের বিরোধিতা করে বলেছিল, অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ প্রাথমিকভাবে প্রমাণিত হয়েছে, তাই অব্যাহতির আবেদন খারিজ করা উচিত। উভয়পক্ষের শুনানি শেষে ম্যাজিস্ট্রেট মাহবুবুল আবেদন মঞ্জুর করে মামলা থেকে অব্যাহতি দেন।
মামলার অভিযোগ থেকে জানা যায়, জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া ও তার বড় ছেলে তারেক রহমানের সাজার প্রতিবাদে ২০১৮ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি বিকেল ৩টার দিকে রাজধানীর পল্টনের ডিআইটি এক্সটেনশন রোডের সামনে খোকনের নেতৃত্বে একদল নেতাকর্মী জড়ো হন। একপর্যায়ে তারা জনবাধা, গাড়ি ভাঙচুর ও পুলিশ সদস্যদের দায়িত্ব পালনে বাধা দেয়। তারা ককটেল বিস্ফোরণ ঘটা, এতে ছয় পুলিশ সদস্য আহত হন।
এ ঘটনায় খোকন, মিলন, অ্যানি, টুকু, মজনু, নীরবসহ ২৮ জনের বিরুদ্ধে পল্টন মডেল থানায় মামলা করে পুলিশ। তদন্ত শেষে ২০১৯ সালের ১৩ জুন মোট ৪৫ জনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দেয় পুলিশ।