সাবেক তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী মোহাম্মদ আলী আরাফাত বলেছেন, আমরা প্রথমে চুপ ছিলাম, পরে ধীরে ধীরে আমাদের বক্তব্য দিতে শুরু করেছি। এখন আমরা বলছি যে কিছু টেকনিক্যাল সমস্যা এবং প্রতিবন্ধকতা রয়েছে, তবে আস্থা রাখছি সবকিছু ঠিক হবে।
সম্প্রতি একটি টক শোতে এসব কথা বলেন তিনি। তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ ছিল, আছে এবং থাকবে। আওয়ামী লীগের পরবর্তী ধাপে গুরুত্বপূর্ণ কাজগুলো হবে, বিশেষত জনগণের স্বার্থে।
সরকারে থাকাকালীন নিজেদের ভুল স্বীকার করে সাবেক এই প্রতিমন্ত্রী বলেন, আমরা অবশ্যই আমাদের দায়ও স্বীকার করি। যখন আমরা সরকারে ছিলাম, তখন আমাদের অনেক ভুল ছিল, সেগুলো আমরা স্বীকার করেছি এবং সেগুলোর প্রতি আলোচনা চলছে। এখন আমাদের উদ্দেশ্য হলো ভবিষ্যতে এসব ভুল থেকে শিক্ষা নেয়া এবং এগুলো যাতে পুনরায় না হয়, সে বিষয়ে কাজ করা।
ছাত্র আন্দোলন চলাকালীন ছাত্রদের ওপর গুলি চালানোর বিষয়ে মোহাম্মদ আরাফাত বলেন, আমরা যখন বলেছিলাম, ‘জনগণের ওপর গুলি চালানো যাবে না’, তখন এই অবস্থান বজায় রেখেছি। আমরা কখনোই গুলি চালানোর পক্ষে ছিলাম না, বরং শান্তিপূর্ণ সমাধান খুঁজতে চেয়েছিলাম।
তিনি বলেন, আমাদের অবস্থান থেকে আমরা বিচার চাই, যাতে সঠিক অপরাধীদের শাস্তি দেয়া হয়। তদন্ত ও বিচার প্রক্রিয়ার জন্য আমরা আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলোকেও আহ্বান জানিয়েছিলাম। আমরা আহতদের পাশে দাঁড়িয়েছিলাম এবং তাদের চিকিৎসার জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করেছিলাম।
তিনি বলেন, সমস্ত হত্যাকাণ্ডের বিচার হতে হবে। আমরা চাই বিচার হোক সঠিকভাবে, যাতে প্রকৃত দোষীরা শাস্তি পায়। জাতিসংঘসহ অন্যান্য আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলোর সহযোগিতায় আমরা যেটা চেয়েছিলাম, সেটা এখনো সম্পূর্ণ হয়নি, কারণ সরকারি পক্ষ থেকে যথাযথ পদক্ষেপ নেয়া হয়নি। যেসব অভিযোগ ওঠে, তাদের যথাযথভাবে তদন্ত করা উচিত এবং তাদের বিরুদ্ধে সঠিক বিচার নিশ্চিত করা উচিত। এসব বিষয় নিয়ে আমরা চুপ থাকতে পারি না, কারণ সঠিক বিচার নিশ্চিত করতে না পারলে সাধারণ জনগণের মধ্যে অস্থিরতা থাকতে পারে।
তিনি আরো বলেন, আমরা সরকারের দায় ও দায়িত্ব স্বীকার করেছি, কিন্তু জাতি ও জনগণের কাছে আমাদের আবেদন, যে কোনো ভুলের বিচার করা হোক এবং জাতি যেন সঠিকভাবে বিচার পায়।