চট্টগ্রামে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে ছাত্র-জনতার ওপর বিদেশি পিস্তল দিয়ে গুলিবর্ষণকারী এক স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতাকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গ্রেপ্তার ব্যক্তির নাম মিঠুন চক্রবর্তী (৩৫)। তিনি চট্টগ্রাম নগরের চকবাজার ওয়ার্ড স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি। গতকাল রোববার দুপুরে ফেনী সদরের সুলতানপুর এলাকা থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
আজ সোমবার সকালে নগরের দামপাড়া এলাকায় চট্টগ্রাম নগর পুলিশের সদর দপ্তরে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তাঁর গ্রেপ্তারের বিষয়টি নিশ্চিত করেন নগর পুলিশের উপকমিশনার (অপরাধ) রইছ উদ্দিন। তিনি সাংবাদিকদের বলেন, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে মিঠুন ছাত্র-জনতার আন্দোলনকে দমানোর জন্য অস্ত্র দিয়ে আক্রমণ করার কথা স্বীকার করেছেন। তবে তাঁর ব্যবহৃত বিদেশি পিস্তলের ব্যাপারে বিভ্রান্তিকর তথ্য দিয়েছেন তিনি।
রইছ উদ্দিন বলেন, ‘গত ১৬ জুলাই আমাদের এখানে যখন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলন চলছিল, তখন মিঠুন প্রকাশ্যে গুলি চালান। এ ধরনের একটি ভিডিও আমরা ফেসবুকসহ বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে দেখেছি। ভিডিও দেখে আমরা তাঁকে শনাক্ত করি। এরপর গোপন সূত্রে খবর পেয়ে তাঁর এক আত্মীয়ের বাসা থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করি।’
মিঠুনের ব্যবহৃত অস্ত্রের বিষয়ে এক প্রশ্নের জবাবে রইছ উদ্দিন বলেন, ‘সেটি একটি বিদেশি পিস্তল ছিল। পিস্তলটি তাঁর নিজের নয় বলে তিনি আমাদের জানিয়েছেন। অন্য আরেকজনের কাছ থেকে তিনি নিয়েছিলেন। পরে আবার ফেরত দিয়েছেন। সেটা আমরা তদন্ত করে দেখছি। অস্ত্রটি উদ্ধারে আমরা অভিযান পরিচালনা করব।’
সাবেক কাউন্সিলরের সহযোগিতায় মিঠুন বিভিন্ন সন্ত্রাসী কার্যক্রমে জড়িত ছিলেন জানিয়ে রইছ উদ্দিন বলেন, ‘তিনি চকবাজার ওয়ার্ডের সাবেক কাউন্সিলর নুর মোস্তফার সহযোগী। তাঁর সহযোগিতায় মিঠুন এলাকায় চাঁদাবাজি, টেন্ডারবাজিসহ বিভিন্ন ধরনের সন্ত্রাসী কার্যক্রম পরিচালনা করতেন বলে আমাদের কাছে তথ্য আছে।’
এক প্রশ্নের জবাবে রইছ উদ্দিন বলেন, ‘তাঁর বিরুদ্ধে পাঁচলাইশ থানায় একটি মামলা আছে। এখানে যে হত্যাকাণ্ডগুলো হয়েছে, ছাত্র-জনতার ওপর যে হামলা হয়েছে, সেসব ঘটনায় যদি তাঁর সম্পৃক্ততা থাকে, সেখানেও তাঁকে গ্রেপ্তার দেখানো হবে। তাঁকে আজ আমরা আদালতে সোপর্দ করে রিমান্ডের আবেদন করব।’