ন্যায়-ইনসাফের সমাজ প্রতিষ্ঠায় আগামী দিনে যোগ্য ও নিবেদিত ব্যক্তিদের নির্বাচিত করার আহ্বান জানিয়েছেন জামায়াতে ইসলামীর আমির শফিকুর রহমান। তিনি বলেছেন, নেতা নির্বাচনের ক্ষেত্রে ব্যক্তির সততা, কর্তব্যনিষ্ঠা, আমানতদারিতা ও তাকওয়া বিবেচনায় নিতে হবে। অসৎ নেতারা বারবার জনগণের কাছে নতুন নতুন কথা বলে নানা প্রতিশ্রুতি দেন; কিন্তু তাঁরা প্রতিশ্রুতি রক্ষা করেন না।
আজ শুক্রবার সন্ধ্যায় রাজধানীর শেওড়াপাড়ার মনিপুর স্কুল অ্যান্ড কলেজ প্রাঙ্গণে শীতবস্ত্র বিতরণকালে প্রধান অতিথির বক্তব্যে জামায়াতের আমির এ কথা বলেন।
জামায়াতের আমির বলেন, ‘জামায়াতে ইসলামী এমন এক বৈষম্যহীন ও ইনসাফপূর্ণ সমাজ প্রতিষ্ঠা করতে চায়, যে সমাজে কেউ না খেয়ে থাকবে আর কেউ অবৈধভাবে সম্পদ গড়ে বিদেশে পাচারের মাধ্যমে অর্থবিত্তের পাহাড় জমাবে, এমন হবে না। কোরআন-সুন্নাহর আইনের মাধ্যমে এমন শান্তির সমাজ প্রতিষ্ঠা করা সম্ভব। যে সমাজে সৎ কাজের আদেশ এবং অসৎ কাজের নিষেধ করা হবে—সে সমাজই আমাদের কাক্ষিত ও ইপ্সিত লক্ষ্য।’ সেই স্বপ্নের সমাজ বিনির্মাণে সবাইকে জামায়াতের পতাকাতলে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানান তিনি।
শফিকুর রহমান বলেন, ‘মানুষের মধ্যে সে ব্যক্তিই উত্তম, যে মানুষের কল্যাণে কাজ করে। হাদিসে রাসুল (সা.)-এ ইরশাদ হয়েছে, “তোমাদের মধ্যে তারাই ভালো মানুষ, যারা সব সময় মানুষের উপকারের ধান্ধায় থাকে।” নির্বাচন এলেই একশ্রেণির রাজনীতিবিদ জনগণের কাছে ভোট প্রার্থনা ও মানুষের কল্যাণে কাজ করে ইবাদত করার সুযোগ চান; কিন্তু তাঁরা ক্ষমতায় যাওয়ার পর সে অঙ্গীকারের কথা ভুলে গিয়ে নিজেদের আখের গোছাতে ব্যস্ত হয়ে পড়েন। পক্ষান্তরে সৎ ও আল্লাহভীরু লোকেরা বলেন, “আমরা আপনাদের সেবা করতে চাই, যদি আমাদের সে সুযোগ প্রদান করেন। যদি আমরা ভালো কাজ করি, তাহলে সহযোগিতা করবেন। আর মন্দ কাজ করলে বিদায় করে দেবেন।”
অনুষ্ঠানে সুবিধাবঞ্চিত এক হাজার ব্যক্তিকে কম্বল উপহার দেওয়া হয়। কাফরুল পশ্চিম থানা আমির আবদুল মতিন খানের সভাপতিত্বে এবং থানা সেক্রেটারি আতিক হাসানের পরিচালনায় বিশেষ অতিথি ছিলেন জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য ও ঢাকা মহানগরী উত্তরের আমির মোহাম্মদ সেলিম উদ্দিন, কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য ও ঢাকা মহানগরী উত্তরের সেক্রেটারি মুহাম্মদ রেজাউল করিম। উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় মজলিসে শুরা সদস্য মুহিব্বুল্লাহ, মহানগরী কর্মপরিষদ সদস্য মুহাম্মদ শহিদুল্লাহ, শাহ আলম প্রমুখ।