প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেছেন, স্বাধীনতা পরবর্তী সময়ে দেশের ভৌগলিক অখণ্ডতা ও সার্বভৌমত্ব অক্ষুণ্ন রাখার পাশাপাশি সীমান্ত সুরক্ষা, চোরাচালান রোধ, মাদক ও নারী-শিশু পাচার রোধে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) ‘সীমান্তের অতন্দ্র প্রহরী’ হিসেবে দায়িত্ব পালন করে যাচ্ছে।
শুক্রবার (২০ ডিসেম্বর) ‘বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) দিবস’ উপলক্ষে এক বাণীতে এসব কথা বলেন প্রধান উপদেষ্টা। তিনি বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) দিবস-২০২৪ উদযাপন উপলক্ষে এ বাহিনীর সব সদস্যকে আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানান।
প্রধান উপদেষ্টা বলেন, ‘বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ একটি ঐতিহ্যবাহী প্রতিষ্ঠান। আমাদের মহান মুক্তিযুদ্ধে এ বাহিনীর ভূমিকা অবিস্মরণীয়। মুক্তিযুদ্ধে অসামান্য বীরত্বের জন্য এ বাহিনীর দুজন বীরশ্রেষ্ঠ ল্যান্স নায়েক নূর মোহাম্মদ শেখ এবং ল্যান্স নায়েক মুন্সী আব্দুর রউফসহ ১১৯ মুক্তিযোদ্ধা সদস্য খেতাবপ্রাপ্ত হয়েছেন। মহান মুক্তিযুদ্ধে এ বাহিনীর ৮১৭ জন অকুতোভয় সদস্য তাদের জীবন উৎসর্গ করে বিজিবির ইতিহাসকে করেছেন মহিমান্বিত।’
মুহাম্মদ ইউনূস বলেন, জুলাই-আগস্টে ছাত্র-শ্রমিক-জনতার গণঅভ্যুত্থান পরবর্তী সময়ে সীমান্তবর্তী এলাকাসহ সারা দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে এবং সাম্প্রতিককালে দেশের দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলে ভয়াবহ বন্যা পরিস্থিতি মোকাবিলায় বিজিবির ভূমিকা সর্বমহলে প্রশংসিত হয়েছে।
প্রধান উপদেষ্টা বলেন, বিজিবির সদস্যরা দেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব সমুন্নত রাখতে সর্বোচ্চ দেশপ্রেম, নিষ্ঠা, আন্তরিকতা ও পেশাদারিত্বের সঙ্গে দায়িত্ব পালন করবেন, এটাই সবার প্রত্যাশা। তিনি বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের সার্বিক সাফল্য এবং উত্তরোত্তর সমৃদ্ধি কামনা করেন।