জোড় ইজতেমা নিয়ে বিরোধের জের ধরে সাদপন্থী শীর্ষ মুরুব্বি সৈয়দ ওয়াসিফুল ইসলামসহ ১৫ জনের বিরুদ্ধে টঙ্গী পশ্চিম থানায় মামলা করেছে শুরায়ে নেজামের (জুবায়েরপন্থী) সাথী মোহাম্মদ হোসেন।
আজ সোমবার (১৬ ডিসেম্বর) দুপুর ১২টায় শুরায়ে নিজামের মিডিয়া সমন্বয়কারী হাবিবুল্লাহ রায়হান কালের কণ্ঠকে মামলার কপি দিয়ে সংবাদটি নিশ্চিত করেন।
মামলায় আসামিরা হলেন- সৈয়দ ওয়াসিফুল ইসলাম (৭০), মাওলানা আব্দুল্লাহ মনসুর (৫৫), মাওলানা মোয়াজ বিন নূর (৪০), মাওলানা জিয়া বিন কাসেম (৪৫), মুফতি আজিমুদ্দিন (৪৫), মুফতি ওসামা ইসলাম (৪২), মুফতি সৈয়দ আনোয়ার আবদুল্লাহ (৪৫), মুফতি সফীউল্লাহ (৪৫), মাওলানা আনাস (৪৫), হাজী বসির শিকদার (৫৫), মোহাম্মদ মনির হোসেন তুষার উরফে হাজী মনির (৪০), ইঞ্জিনিয়ার মুহিবুল্লাহ (৭০), রেজা আরিফ (৫২), আতাউর রহমান (৫০), ও অ্যাডভোকেট ফরিদ (৪৫)।
মামলার বিবরণে বলা হয়, আসামিরা বেপরোয়াভাবে গাড়ি চালিয়ে গুরুতর আঘাত করে ৯৮/১০৫ সড়ক পরিবহন আইন ২০১৮ এর ১১৪/৫০৬/৩৪ ধারায় অপরাধ করেছেন।
এর আগে ১২ ডিসেম্বর দুপুরে শুরায়ে নেজাম (জুবায়েরপন্থী) ২০১৮ সালে ইজতেমায় দুই মুসল্লি নিহতের ঘটনায় সাদপন্থীদের অভিযুক্ত করে ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক অবরোধ করে। এসময় সাদপন্থীরা স্টেশন রোড অতিক্রম করার সময় হামলার ঘটনা ঘটলে সাদপন্থীদের ৫ জন আহত হন। এই ঘটনায় সাদপন্থীরা ৩৪ জনকে শনাক্ত করে টঙ্গী পশ্চিম থানায় জুবায়েরপন্থী ৩৪ জনের নামে একটি মামলা দায়ের করেন।
টঙ্গী পশ্চিম থানার ওসি ইস্কান্দার হাবিবুর রহমান কালের কণ্ঠকে বলেন, ‘দুই পক্ষের দুটি মামলা রেকর্ড হয়েছে।
জানা যায়, আগামী বছর দুই ধাপে বিশ্ব ইজতেমা অনুষ্ঠিত হবে। প্রথম ধাপে ৩১ জানুয়ারি থেকে ২ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত এবং দ্বিতীয় পর্ব ৭ থেকে ৯ ফেব্রুয়ারি অনুষ্ঠিত হবে। ৩ ডিসেম্বর শুরায়ে নেজামের আয়োজনে বিশ্ব ইজতেমার প্রথম পর্বেও প্রস্তুতি হিসেবে ৫ দিনব্যাপী জোড় ইজতেমা শেষ হয়েছে। ২০ ডিসেম্বর সাদপন্থীরা জোড় ইজতেমা করবেন ও জুবায়েরপন্থীরা করতে দেবে না বলে বিরোধ চলছে।
এ অবস্থায় উভয়পক্ষ পাল্টাপাল্টি সাংবাদিক সম্মেলন, সমাবেশসহ নানা কর্মসূচি পালন করছেন। গতকাল জুবায়েরপন্থীদের সাংবাদিক সম্মেলনের পর সাদপন্থীরাও সম্মেলন করে তাদের অবস্থান ব্যাখ্যা করেন।
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সহকারী উপদেষ্টা ও জিএমপির কমিশনারের অপসারণ চাওয়ার বিষয়ে গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশ (জিএমপি) কমিশনার ড. মোহাম্মদ নাজমুল করীম খান কালের কণ্ঠকে বলেন, ‘যে কেউ অপসারণ চাইতে পারে। সরকার চাইলে করতে পারে। তবে আমি কোনো পক্ষপাতিত্ব করছি না।