অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেছেন, অন্তর্বর্তী সরকার প্রথম পর্যায়ে ছয়টি সংস্কার কমিশন গঠন করেছে। এই ছয় কমিশনের চেয়ারম্যানদের নিয়ে ‘জাতীয় ঐকমত্য গঠন কমিশন’ গঠনের দিকে সরকার এগোচ্ছে। তিনি নিজেই এই কমিশনের চেয়ারম্যানের দায়িত্বপালন করবেন বলে জানান।
ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থান-পরবর্তী প্রথম মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে আজ সোমবার জাতির উদ্দেশে দেওয়া ভাষণে ড. মুহাম্মদ ইউনূস এ কথা বলেন। সকাল ১০টায় জাতির উদ্দেশে ভাষণ দেন তিনি। তাঁর ভাষণ বাংলাদেশ টেলিভিশন ও বিটিভি ওয়ার্ল্ডে সম্প্রচার করা হয়।
ভাষণে ড. ইউনূস নির্বাচন, ব্যাংকিং ব্যবস্থা, শ্বেতপত্র কমিটি, ঐক্য কমিশন গঠন, সংস্কার প্রক্রিয়াসহ বিভিন্ন বিষয় নিয়ে কথা বলেন। ২০২৫ সালের শেষ দিক থেকে ২০২৬ সালের প্রথমার্ধের মধ্যে নির্বাচনের সময় নির্ধারণ করা যায় বলেছেন তিনি।
জাতীয় ঐক্য কমিশন শিগগিরই চূড়ান্ত প্রতিবেদন পেশ করবে বলে আশা করেন ড. ইউনূস। এই কমিশনের কাজের ব্যাখ্যা দিয়ে তিনি বলেন, জাতীয় ঐকমত্য গঠন কমিশনের কাজ হবে রাজনৈতিক দলসহ সব পক্ষের সঙ্গে মতামত বিনিময় করে যেসব বিষয়ে ঐকমত্য স্থাপন হবে, সেগুলো চিহ্নিত করা ও বাস্তবায়নের জন্য সুপারিশ করা।
ড. ইউনূস বলেন, ‘যেহেতু জাতীয় ঐকমত্য প্রতিষ্ঠা করা অন্তর্বর্তী সরকারের অতি গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব, তা বিবেচনা করে আমি এই কমিশনের চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পালন করব। আমার সঙ্গে এই কমিশনের সহসভাপতির দায়িত্বপালন করবেন অধ্যাপক আলী রীয়াজ। কমিশন প্রয়োজন মনে করলে নতুন সদস্য কো-অপ্ট করতে পারবে।’
বিজয়ের মাসে বাংলাদেশের দল, মত, জাতি, ধর্ম, বর্ণ, বয়স নির্বিশেষে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ থাকার আহ্বান জানান ড. ইউনূস। এ বিষয়ে তিনি বলেন, ‘বিজয়ের মাস হোক নারী, পুরুষ, ধর্ম, বর্ণ রাজনৈতিক পরিচয়নির্বিশেষে জাতির মহা ঐক্যের মাস।’