গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হক নুর জানিয়েছেন, প্রয়োজন হলে অন্তর্বর্তী সরকারের বিরুদ্ধে আন্দোলন করবেন।
শুক্রবার (১৩ ডিসেম্বর) জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে বাংলাদেশ যুব অধিকার পরিষদ আয়োজিত ‘ভারতীয় আগ্রাসন ও আধিপত্য বিরোধী’ শীর্ষক জাতীয় যুব সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
নুরুল হক নুর বলেন, “এ সরকারের প্রতি আমাদের ক্ষোভ আছে, রাগ আছে। প্রয়োজনে সরকারের বিরুদ্ধে আন্দোলন করব। আমাদের দাবি আদায়ে বাধ্য করব। কিন্তু এখনই ফেলে দিতে হবে, এ সরকারকে চলে যেতে হবে, এ লাইনে যাওয়া যাবে না। এ সরকারের জনগণের বাইরে যাওয়ার সুযোগ নেই। জনগণের বাইরে গেলে, জনসমর্থনের বাইরে গেলে তারা এক সপ্তাহও টিকে থাকতে পারবে না।”
এছাড়া,
নূর বলেন, আজ বাংলাদেশে যে সংকট তৈরি হয়েছে, বিশেষ করে শেখ হাসিনার পতনের পর ভারতের সঙ্গে বাংলাদেশের যে সংকট তৈরি হয়েছে, আমরা মনে করি এই সংকটের জন্য ভারত দায়ী। সরকারের পক্ষ থেকে সুস্পষ্ট বার্তা ছিল এবং রাজনৈতিক দলগুলো বলেছে, ভারতের সঙ্গে বাংলাদেশের যে কূটনৈতিক সম্পর্ক সেটি স্বাভাবিকভাবেই চলবে। তবে আওয়ামী লীগকে তারা (ভারত) দাস-দাসীর মতো ব্যবহার করেছে, এই অভ্যুত্থান পরবর্তী বাংলাদেশের সরকারকে সেভাবে দাস-দাসীর মতো ব্যবহার করতে পারবে না। ভারতের দিক থেকে আমরা এ চরিত্রগুলো দেখতে পাচ্ছি।
তিনি বলেন, বাংলাদেশকে নিয়ে ভারতের গণমাধ্যম, তাদের আন্তর্জাতিক মানের নেতারা এবং নাগরিক সমাজ সংঘবদ্ধভাবে অপপ্রচার চালাচ্ছে। তারা বলছে, বাংলাদেশে নাকি সংখ্যালঘুদের ওপর নির্যাতন এবং নিপীড়ন চালানো হচ্ছে, যা একেবারেই ভিত্তিহীন এবং অসত্য।
নুর বলেন, বাংলাদেশে আজ সমগ্র রাজনৈতিক দল দাবি জানিয়েছে, বিগত ১৬ বছরে শেখ হাসিনার আমলে ভারতের সঙ্গে যেসব অন্যায্য এবং দেশবিরোধী চুক্তি হয়েছে তা জনসম্মুখে প্রকাশ করা। একইসঙ্গে বাংলাদেশের মানুষের যে আকাঙ্ক্ষা সেটি ভারতকে জানিয়ে দেওয়া। ভারত যদি আমাদের সঙ্গে সুসম্পর্ক রাখতে চায়, বন্ধুত্ব করতে চায়, সেই সম্পর্ক হবে দু’দেশের মানুষের স্বার্থ সংশ্লিষ্ট বিষয়ে।
পরিশেষে, নূর রাষ্ট্র সংস্কারের পাশাপাশি রাজনৈতিক দলের সংস্কারের প্রয়োজনীয়তা তুলে ধরে বলেন, “যদি রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে গণতান্ত্রিক মূল্যবোধ না থাকে, তবে ক্ষমতার লোভ তাদের মধ্যে প্রবল হয়ে উঠবে। তাই রাজনৈতিক দলগুলোর সংস্কারের মাধ্যমে গণতন্ত্রের মূলনীতি শক্তিশালী করা উচিত।”