প্রশ্নবিদ্ধ বিচারের মধ্য দিয়ে দেশের উল্লেখযোগ্য আলেমদের ফাঁসিতে ঝুলিয়ে হত্যা করা হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আহ্বায়ক হাসনাত আব্দুল্লাহ। বিশ্ব মানবাধিকার দিবস উপলক্ষে আয়োজিত এক জনসভায় বক্তৃতাকালে এ মন্তব্য করেন তিনি।
হাসনাত আব্দুল্লাহ বলেন, ‘আলেম হত্যা, ছাত্র-জনতা হত্যাসহ সব হত্যাকাণ্ডের বিচার না হওয়া পর্যন্ত দুনিয়ার কোনো শক্তি নাই যারা রাজপথ থেকে আমাদের উৎখাত করবে।’
ক্ষমতার লোভে অনেক রাজনৈতিক দল আওয়ামী লীগকে মাফ করে দেওয়ার আলাপ তুলেছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘যারা শহীদ ও আহতদের রক্তের ওপর দিয়ে সংসদে যাওয়ার চেষ্টা করবেন তারা জাতীয় বেঈমান হিসেবে গণ্য হবেন।
তিনি বলেন, ‘যে আওয়ামী লীগ এখন পর্যন্ত দুঃখপ্রকাশ পর্যন্ত করেনি তাদের সঙ্গে কিসের সমঝোতা? তারা ক্ষমা চাওয়ার পরিবর্তে ফের হত্যার হুমকি দিচ্ছে। কিন্তু আমরা দেখছি, মুরব্বিদের মধ্যে আওয়ামী লীগের জন্য মায়া হচ্ছে।’
তিনি হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে বলেন, ‘যারা সমঝোতার আওয়াজ তুলছেন, আওয়ামী লীগকে নির্বাচনে দেখতে চাচ্ছেন আপনার ক্ষমতামুখী। আর আহত এবং যারা জীবন্ত শহীদ তারা হলো জনতামুখী।
রাজনীতিবিদদের উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘আপনারা ক্ষমতায় যাবেন, দেশে ভোটাধিকার ও গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠিত হবে; আমরা এ জন্য আন্দোলন করেছি। কিন্তু আপনারা যদি বিচারের আগে আওয়ামী লীগকে রাজনীতির মাঠে ফেরাতে চান তাহলে আহতদের রক্তের ওপর দিয়ে আপনাদের পাড়ি দিতে হবে।’
তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশ যাদের জঙ্গি স্বীকৃতি দিয়েছে ভারত তাদের আশ্রয় দিচ্ছে। ভারতের বেতনভুক্ত কর্মচারী দেশটির প্রেসক্রিপশনে এদেশে গুম-খুন ও গণহত্যা চালিয়েছে।
আমরা চাই, ভারত যেন সন্ত্রাসীদের সেফ হাউস না হয়।’
ভারতের সঙ্গে নতজানু সম্পর্ক চাই না উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘আলেমদের রক্ত আমাদের গায়ে লেগে আছে, আহতদের রক্ত আমাদের গায়ে লেগে আছে। তাদের রক্তের ওপর দাঁড়িয়ে কোনো নতজানু সম্পর্ক ভারতের সঙ্গে আর হবে না। সম্পর্ক হবে ন্যায্যতার ভিত্তিতে। চোখে চোখ রেখে।
হাসনাত বলেন, ‘ভারতে যখন সংখ্যালঘু নির্যাতন হচ্ছে, দেশটি যখন জঙ্গিদের আশ্রয় দিচ্ছে; তখন গুজরাট কসাই আমাদের সম্প্রীতির সবক দিচ্ছে। আমরা গুজরাট কসাইকে বলতে চাই, আমার ভাই, আলিফকে দিবালোকে জবাই করে হত্যা করা হয়েছে, এ ঘটনার পরেও দেশবাসী ধৈর্যের পরিচয় দিয়েছে। এদেশের মানুষ ভারতের কোনো ষড়যন্ত্রে পা দেয়নি।’