১০ ট্রাক অস্ত্র মামলায় হাইকোর্টে খালাস চেয়েছেন সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী লুৎফুজ্জামান বাবর।
বুধবার দুপুরে লুৎফুজ্জামান বাবরের পক্ষে যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শেষে এ তথ্য জানান তার আইনজীবী।
এ দিন আদালতকে আইনজীবী বলেন, রাজনৈতিক রং দিতে ১০ ট্রাক অস্ত্র মামলায় যাকে ইচ্ছা লুৎফুজ্জামান বাবরকে আসামি করা হয়েছে। এখানে সবই শোনা সাক্ষী, কেউ বলেনি লুৎফুজ্জামান বাবর জড়িত। এরপরও তাকে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়েছে।
এর আগে এ মামলায় রাষ্ট্রপক্ষের যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শেষ করেন বিচারপতি মোস্তফা জামান ইসলাম ও বিচারপতি নাসরিন আক্তারের হাইকোর্ট বেঞ্চ।
গত ৬ নভেম্বর ডেথ রেফারেন্স ও আপিলের ওপর শুনানি শুরু হয়। সেই দিন পেপারবুক উপস্থাপনের মধ্য দিয়ে শুনানি শুরু করে রাষ্ট্রপক্ষ।
২০০৪ সালের ১ এপ্রিল সিইউএফএল ঘাট থেকে ১০ ট্রাকভর্তি অস্ত্রের চালান জব্দ করা হয়। এ নিয়ে কর্ণফুলী থানায় অস্ত্র আইন ও বিশেষ ক্ষমতা আইনে চোরাচালানের অভিযোগ এনে দুটি মামলা দায়ের হয়। মামলায় ২০১৪ সালের ৩০ জানুয়ারি রায় ঘোষণা করেন চট্টগ্রাম মহানগর দায়রা জজ আদালত এবং বিশেষ ট্রাইব্যুনাল-১।
এর মধ্যে অস্ত্র চোরাচালান মামলায় বিচারিক আদালতের রায়ে সাবেক শিল্পমন্ত্রী ও জামায়াতে ইসলামীর আমির মতিউর রহমান নিজামী (অন্য মামলায় ফাঁসি কার্যকর), সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী লুৎফুজ্জামান বাবর, ভারতের বিচ্ছিন্নতাবাদী সংগঠন উলফার সামরিক কমান্ডার পরেশ বড়ুয়া এবং দুটি গোয়েন্দা সংস্থার ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাসহ ১৪ জনকে ফাঁসির আদেশ দেওয়া হয়। অস্ত্র আইনে করা অন্য মামলায় একই আসামিদের যাবজ্জীবন কারাদণ্ডাদেশ হয়।
বিচারিক আদালতের রায়ের পর ২০১৪ সালের ৬ ফেব্রুয়ারি রায়সহ মামলার নথিপত্র হাইকোর্টের ডেথ রেফারেন্স শাখায় পৌঁছে, যা ডেথ রেফারেন্স মামলা হিসেবে নথিভুক্ত হয়। ২০১৪ সালে সাজার রায়ের বিরুদ্ধে হাইকোর্টে আলাদা আপিল করেন কারাগারে থাকা দণ্ডপ্রাপ্ত আসামিরা।