শেখ মুজিবুর রহমান বাংলাদেশের স্বাধীনতা চাননি, পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী হতে চেয়েছিলেন বলে মন্তব্য করেছেন লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টির (এলডিপি) প্রেসিডেন্ট অবসরপ্রাপ্ত কর্নেল অলি আহমদ বীরবিক্রম। সম্প্রতি একটি বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেলকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে তিনি এই মন্তব্য করেন।
অলি আহমদ বলেন, ১৯৭০ সালে যখন নির্বাচন হয় তখন সেটা ছিল বাঙালি ও অবাঙালিদের মধ্যে; এটা কোনো রাজনৈতিক দলের মধ্যে ছিল না। যেহেতু সেই সময়ে বাংলাদেশের একমাত্র প্রতিনিধিত্বকারী দল ছিল আওয়ামী লীগ, মানুষ আওয়ামী লীগকে নিরঙ্কুশভাবে জয়ী করে।
স্বাভাবিকভাবে শেখ মুজিবুর রহমান মনে করেছিলেন তাকেই পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী করা হবে এবং তিনি পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী হতেই আগ্রহী ছিলেন।
তিনি বলেন, আমরা যারা সেনাবাহিনীতে ছিলাম, আমরা পাকিস্তানিদের ওপর নজর রাখছিলাম। আমরা দেখলাম প্রতিনিয়ত পাকিস্তান থেকে নতুন নতুন সেনাদল, অস্ত্র-গোলাবারুদ আসতে শুরু করেছে। অথচ ১৯৬৫ সালে আমি যুদ্ধে অংশগ্রহণ করেছি, তখন তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তান সম্পূর্ণ অরক্ষিত ছিল।
তখন পাকিস্তান থেকে কোনো সেনাদলও আসেনি, অস্ত্রও আসেনি। তাহলে ’৭১ সালে যেখানে কোনো নতুন সেনার প্রয়োজন নাই, অস্ত্রের প্রয়োজন নাই, সেখানে কেন নতুন সেনা-অস্ত্র আসছে? এতে আমাদের মনে সন্দেহ জাগল যে পাকিস্তানিরা হয়তো ক্ষমতা প্রয়োগ করে এ দেশের মানুষকে দমন করবে। তখন আমি, তৎকালীন মেজর জিয়া ও লে. কর্নেল এম আর চৌধুরীর নেতৃত্বে বিদ্রোহের পরিকল্পনা করলাম। এই বিদ্রোহের কথা শেখ মুজিবকে জানালাম।
তিনি আরো বলেন, শেখ মুজিব আমাদের ওপর আস্থা রাখতে পারেন নাই। তিনি পরিষ্কারভাবে বলেছিলেন, আমি এক ইয়াহিয়া খানের পরিবর্তে আরেক ইয়াহিয়া খানের ওপর দায়িত্ব দিতে পারি না। তিনবার তার সঙ্গে আমরা যোগাযোগ করি, তিনবারই তিনি আমাদের একই জবাব দেন। পরবর্তী সময়ে আমরা দেখলাম, তিনি পাকিস্তানিদের সঙ্গে বৈঠক ঠিক করলেন হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালে।