Home Politics বিএনপির দুই গ্রুপের সংঘর্ষ, সাবেক ছাত্রদল নেতাকে কুপিয়ে হত্যা

বিএনপির দুই গ্রুপের সংঘর্ষ, সাবেক ছাত্রদল নেতাকে কুপিয়ে হত্যা

by radesk
0 comments

মানিকগঞ্জের ঘিওরে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্রে করে বিএনপির দুই গ্রুপের সংঘর্ষে ছাত্রদলের সাবেক সাধারণ সম্পাদককে কুপিয়ে হত্যা করা হয়েছে। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন আরও ছয় জন।

সোমবার (৯ ডিসেম্বর) দুপুরে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের সামনে এ ঘটনা ঘটে।

নিহত লাভলু মিয়া ঘিওর উপজেলার কুস্তা গ্রামের মৃত আব্দুল হালিমের ছেলে। তিনি উপজেলা ছাত্রদলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ছিলেন।

আহতরা হলেন, কুস্তা গ্রামের মৃত দীন ইসলামের ছেলে ঘিওর সদর ইউনিয়ন যুবদলের সভাপতি রাহাতুজ্জামান খান আলতাফ (৪২), একই গ্রামের শওকত দর্জির ছেলে ওয়ার্ড যুবদল নেতা হিমেল দর্জি (২৫), উপজেলা যুবদলের যুগ্ম আহবায়ক মো. আফিকুল ইসলাম, ঘিওর উপজেলা মোড় এলাকার বাসিন্দা মো. রফিকের ছেলে সোহাগ (২৫), আজাদ খানের ছেলে তামিম (২৫) ও শাহ আলমের ছেলে মো. সেলিম (২৮)।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, আজ সোমবার বেলা ১২টার দিকে ঘিওর বাসস্ট্যান্ড এলাকায় কুস্তা গ্রামের বাসিন্দা যুবদল নেতা হিমেলকে উপজেলা মোড় এলাকার সোহাগ, তানভীর, বাবু, শীতল, তামিম, সেলিমসহ আরও অন্তত ১৫-২০ জন বেধড়ক পেটায়। এসময় দুই গ্রুপের মারামারিতে আহত হিমেল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যাবার পথে পুনরায় তাদের উপর হামলা চালায়। এরপর ওই আহতদের দেখার জন্য ছাত্রদলের সাবেক নেতা লাভলু মিয়া, উপজেলা যুবদলের যুগ্ম আহবায়ক আফিকুল ইসলাম, ইউনিয়ন যুবদলের সভাপতি রাহাতুজ্জামান আলতাফ হাসপাতালের গেইটে যাওয়ার পর পরই তাদের উপর অতর্কিত হামলা চালায় প্রতিপক্ষ। এ সময় দেশীয় চাপাতি ও রামদা দিয়ে কুপিয়ে আহত করা হয় লাভলু, আলতাফ ও হিমেলকে।

গুরুতর আহত লাভলুকে উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য প্রথমে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হলে সেখানকার দায়িত্বরত চিকিৎসক তাকে ঢাকায় নেওয়ার পরামর্শ দেন। পরে সেখান থেকে মুন্নু মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসকরা তাকে মৃত ঘোষণা করে।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে উপজেলা বিএনপির শীর্ষস্থানীয় দুই নেতা জানান, এলাকার ক্ষমতা আর আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে ঘিওর সদর (উপজেলা মোড়) ও কুস্তা গ্রামের বিএনপি নেতা কর্মীদের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে এই দ্বন্দ্ব চলে আসছে। এ বিষয়টি নিয়ে জেলা বিএনপির শীর্ষস্থানীয় নেতারাও কয়েক দফায় আলোচনা করে মীমাংসা করে দিয়েছেন। নেতাদের সামনে সমঝোতা হলেও আড়ালে দুই পক্ষের মধ্যে দ্বন্দ্ব রয়েই যায়। ফলশ্রুতিতে আজকের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে।

এ ব্যাপারে মানিকগঞ্জ জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক এস এ জিন্নাহ কবির বলেন, দলীয়ভাবে এ বিষয়টি নিয়ে তদন্ত করে দোষীদের বিরুদ্ধ ব্যবস্থা নেয়া হবে। ঘিওর থানা পুলিশের নিষ্ক্রিয়তার কারণেই হতাহতের ঘটনা ঘটেছে বলে তিনি অভিযোগ করেন।

এ বিষয়ে উপজেলা বিএনপির সভাপতি মীর মানিকুজ্জামান মানিক বলেন, আমি এলাকায় ছিলাম না। এ বিষয়ে কিছু জানিও না।

লাভলু আহমেদের মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করে ঘিওর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ রফিকুল ইসলাম বলেন, দুই পক্ষের সংঘর্ষে এক বিএনপি নেতা মারা গেছেন। কয়েকজন আহত আছে। তদন্ত করা হচ্ছে। এ ঘটনায় জড়িতদের গ্রেপ্তারের চেষ্টাও চলছে। মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য মানিকগঞ্জ জেলা হাসপাতাল মর্গে প্রেরণ
করা হয়েছে।

You may also like

Leave a Comment

Rajneeti Ajkal is a leading news portal dedicated to providing comprehensive coverage of news, current affairs, political analysis, and the contemporary landscape of Bangladesh.

Rajneeti Ajkal, A Media Company – All Right Reserved. Designed and Developed by Rajneeti Ajkal