রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের সংলাপ প্রক্রিয়ায় আওয়ামী লীগ ও জাতীয় পার্টিকে (জাপা) বাদ দেওয়ার অভিযোগ করেছেন জাপা চেয়ারম্যান গোলাম মোহাম্মদ কাদের। তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ ও জাতীয় পার্টিকে বাদ দিলে দেশের ৫০ শতাংশ মানুষের প্রতিনিধিত্বকারী দলকে জাতীয় ঐক্যের ডাকের বাইরে রাখা হয়েছে। ৫০ শতাংশ মানুষের দলকে সংলাপের বাইরে রাখা হয়েছে। এতে জাতিগতভাবে অবিশ্বাসের সৃষ্টি হয়েছে।
দেশে একটা অবিশ্বাস ও সংঘাতময় পরিবেশের সৃষ্টি হয়েছে।
আজ শনিবার জাতীয় পার্টি চেয়ারম্যানের বনানী কার্যালয়ে সংবিধান সংরক্ষণ দিবস উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনাসভায় সভাপতির বক্তৃতায় তিনি এসব কথা বলেন।
জি এম কাদের বলেন, কয়েক দিন আগে মাননীয় প্রধান উপদেষ্টা একটি জাতীয় ঐক্যের ডাক দিয়ে কয়েকটি রাজনৈতিক দলের সঙ্গে মতবিনিময় করেছেন। এতে জাতীয় ঐক্যের নামে জাতীয় অনৈক্যের সূচনা হলো।
৪৮টি নিবন্ধিত দলের মধ্যে মাত্র ১৮টি দলের সঙ্গে মতবিনিময় করেছেন তিনি। ২০০৮ সালের নির্বাচনে আওয়ামী লীগ পেয়েছিল ২৩০টি আসন। তাদের ভোটের হার ছিল ৪৮.০৪। বিএনপি পেয়েছিল ৩০টি আসন।
তাদের ভাটের হার ছিল ৩২.০৫। জাতীয় পার্টি পেয়েছিল ২৭টি আসন। ভোটের হার ছিল ০৭.০৭। আওয়ামী লীগ ও জাতীয় পার্টি দেশের ৫০ শতাংশ মানুষের প্রতিনিধিত্ব করে।
তিনি আরো বলেন, শেখ হাসিনা বৈষম্যমুক্ত সমাজ গড়ার স্বপ্ন ভেঙে দিয়েছিল। শেখ হাসিনার লোকজন লুটপাট করে দেশটা শেষ করে দিয়েছিল। একটি সুন্দর নির্বাচনের মাধ্যমেই জাতির মুক্তি মিলবে। যে নির্বাচনের মাধ্যমে সব ধরনের মানুষের মতামতের ভিত্তিতে একটি সরকার গঠিত হবে। ২০০৮ সালের নির্বাচনে জনগণের রায়ে শেখ হাসিনা নির্বাচিত হয়ে দানবীয় সরকার গঠন করেছিল। এটা থেকে পরিত্রাণ পেতে রাষ্ট্রযন্ত্রের সংস্কার চাই। বৈষম্যমুক্ত সমাজের জন্য শুধু ছাত্র না আজীবন সব শ্রেণি-পেশার মানুষ যুদ্ধ করেছে। বৈষম্যমুক্ত সমাজ গড়তে জাতীয় ঐক্য দরকার।’
সংস্কারে সবার মতামত দরকার আছে জানিয়ে তিনি বলেন, পরবর্তীতে এটি সংসদেও পাস করতে হবে।
ভারতের গণমাধ্যমে বাংলাদেশ নিয়ে অপপ্রচারের বিষয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের উত্তরে গোলাম মোহাম্মদ কাদের বলেন, ‘কোনো আগ্রাসন এলে স্বাভাবিকভাবেই আমরা তা প্রতিহত করব। এটার জন্য গলাবাজির দরকার নাই। কেউ কেউ বলেন, আগ্রাসন এলে এক ইঞ্চিও ছাড় দেব না। কে আপনাকে ছাড় দিতে বলে? আমাদের দেশে আর্মি আছে, বিজিবি আছেন না?’