বিএনপির আন্তর্জাতিক বিষয়ক কমিটির সদস্য ইঞ্জিনিয়ার ইশরাক হোসেন বলেছেন, আন্দোলন, সংগ্রাম ও লড়াইয়ের পর আমরা স্বাধীনতা ফিরে পেলেও পতিত স্বৈরশাসকের নির্দেশে তার দোসররা দেশকে অস্থিতিশীল এবং অকার্যকর করার অপচেষ্টা করছে। যারা বিদেশীদের পরামর্শে রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে অবস্থান নিচ্ছেন তারা আমাদের দেশের নাগরিক কিনা তা নিয়ে দেশবাসীর মনে প্রশ্ন জেগেছে।
তিনি বলেন, যারা দেশের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করছেন তাদের এই বাংলাদেশে রাজনীতি করার অধিকার নেই। ক্ষমতার মসনদ জোর করে টিকিয়ে রাখতে এই আওয়ামী লীগ দুই হাজার ছাত্রজনতাকে হত্যা করেছে। এই হত্যার বিচার না হলে ভবিষ্যতে এরা আবারও দেশের মানুষের রক্ত চুষে নিবে।
শনিবার বিকালে নরসিংদীর রায়পুরা আরকেআরএম উচ্চ বিদ্যালয়ে আরাফাত রহমান কোকো স্মৃতি ফুটবল টুর্নামেন্টে ফাইনাল খেলায় পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। এতে উদ্বোধক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ছাত্রদলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ইকবাল হোসেন শ্যামল।
ইশরাক বলেন, মহান মুক্তিযুদ্ধে এই নরসিংদীর মানুষ অগ্রণী ভূমিকা রেখেছেন। আমার বাবা মুক্তিযুদ্ধকালীন সময়ে এই নরসিংদীতে ঘাঁটি করেছিলেন। জুলাই বিপ্লবেও বাক-স্বাধীনতা ফিরিয়ে আনার আন্দোলনে এই নরসিংদীবাসী অগণিত প্রাণ বিলিয়ে দিয়েছে।
বিএনপির এই নেতা বলেন, তারুণ্যের অহংকার তারেক রহমানের নেতৃত্বে আমরা দেশবাসীকে ঐক্যবদ্ধ করেছি। আগামীতে সুষ্ঠু ও অবাধ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। তারেক রহমানের নেতৃত্বে সন্ত্রাস-দুর্নীতিমুক্ত রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করতে হলে জনগণের মানরক্ষায়, স্বার্থরক্ষায় আমাদের কাজ করতে হবে। পাশাপাশি সকল অপশক্তিকে প্রতিহত করতে ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে সবাইকে সতর্ক থাকতে হবে।
রায়পুরা পৌরসভা বিএনপির সভাপতি ইদ্রিস আলী মুন্সীর সভাপতিত্বে জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক ফাইজুর রহমানের সার্বিক তত্ত্বাবধানে এ অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন রায়পুরা পৌরসভার সাবেক মেয়র আলহাজ্ব আব্দুল কুদ্দুস, পৌর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল ইসলাম পলাশ, সহসভাপতি ইকবাল হোসেন রিয়াজ, সাংগঠনিক সম্পাদক আবু বক্কর সিদ্দিক, উপজেলা যুবদলের আহ্বায়ক আলফাজ উদ্দিম মিঠু, স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক আক্তার হোসেন, শ্রমিক দলের সভাপতি মুসা,মিয়া, উপজেলা যুবদলের সাবেক আহ্বায়ক আমজাদ হোসেন আলতাফ, উপজেলা মহিলা দলের সভানেত্রী আরফিনা আহমেদ, পৌর যুবদলের আহ্বায়ক সোহেল আহমেদ, সদস্য সচিব সুমন নেওয়াজ,পৌর স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক জাকির মাস্টার প্রমুখ।