খেলাফত মজলিসের মহাসচিব ড. আহমদ আবদুল কাদের বলেছেন, তাবেদার ফ্যাসিস্ট হাসিনার পতনে ভারতের নরেন্দ্র মোদি কষ্টে আছে। ভারত সরকার আমাদেরকে শান্তিতে থাকতে দিতে চায় না। স্বাধীনভাবে বেঁচে থাকতে দিতে চায় না। কিন্তু আমরা স্বাধীন জাতি, যেভাবে জীবন দিয়ে স্বাধীনতা অর্জন করেছি, সেভাবে স্বাধীনতা রক্ষা করবো। স্বাধীনতার প্রশ্নে দল-মত, ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে বাংলাদেশের সকল নাগরিক ঐক্যবদ্ধ। দেশবাসী ঐক্যবদ্ধভাবে স্বাধীনতা বিরোধী সকল ষড়যন্ত্র রুখে দিবে। বাংলাদেশ সামনের দিকে এগিয়ে যাবে, আমাদেরকে কেউ দাবিয়ে রাখতে পারবে না। দেশের উন্নয়ন ও অগ্রগতির জন্য দুর্নীতিমুক্ত সৎ নেতৃত্ব কায়েম করতে হবে।
তিনি বলেন, ফ্যাসিস্ট হাসিনা বিগত ১৬ বছরে বিদেশে হাজার হাজার কোটি টাকা পাচার করেছে। এখন পালিয়ে গিয়ে ভারতের হিন্দুত্ববাদী নেতা নরেন্দ্র মোদীর মদদে এদেশে ধর্মীয় দাঙ্গা সৃষ্টির পায়তারা চালাচ্ছে। কিন্তু কোন ষড়যন্ত্রে কাজ হবে না। ঐতিহ্যগতভাবে বাংলাদেশ সম্প্রীতির বাংলাদেশ। খেলাফত মজলিস ঢাকা মহানগরী দক্ষিণ আয়োজিত প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী র্যালি পূর্ব সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথাগুলো বলেন।
আজ সকাল ১০টায় জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে শাখা সভাপতি অধ্যাপক মাওলানা আজীজুল হকের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক মো: আবুল হোসেনের পরিচালনায় অনুষ্ঠিত র্যালী পূর্ব সমাবেশে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন সংগঠনের যুগ্মমহাসচিব অধ্যাপক মো: আবদুল জলিল। অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য দেন বিশিষ্ট আলেমে দ্বীন মুফতি আব্দুস সামাদ, কেন্দ্রীয় নির্বাহী সদস্য হাজী নূর হোসেন, হাফেজ মাওলানা নুরুল হক, শ্রমিক মজলিসের কেন্দ্রীয় সভাপতি প্রভাষক মুহাম্মদ আবদুল করিম, ঢাকা মহানগরী সহ-সাধারণ সম্পাদক কাজী আরিফুর রহমান, সাংগঠনিক সম্পাদক মুনশি মোস্তাফিজুর রহমান ইরান, সরদার নেয়ামত উল্লাহ, ইসলামী ছাত্র মজলিসের ঢাকা মহানগরী দক্ষিণ সভাপতি মুহাম্মদ সাইফ উদ্দীন, শ্রমিক মজলিস ঢাকা মহানগরী উত্তর সভাপতি ইঞ্জিনিয়ার মতিউর রহমান, মাওলানা ফরিদ আহমদ হেলালী, মাওলানা শরীফুল উদ্দিন, ড. মাওলানা মারুফ বিল্লাহ, এডভোকেট এনায়েত রাব্বি একরাম ।
সমাবেশে আরও উপস্থিত ছিলেন, খেলাফত মজলিসের কেন্দ্রীয় প্রচার ও তথ্য সম্পাদক প্রকৌশলী আবদুল হাফিজ খসরু, কেন্দ্রীয় মজলিসে শুরা সদস্য অধ্যাপক এ কে এম গোলাম আজম, মাওলানা বিএম সিরাজ, মাওলানা এমদাদুল্লাহ খাঁন, মহানগরী দক্ষিণের সহ-সভপতি মাওলানা ফারুক আহমদ ভূঁইয়া, সহ-সাধারণ সম্পাদক এইচ এম হুমাযুন কবির আজাদ, বায়তুলমাল সম্পাদক মুহাম্মদ সেলিম হোসাইন, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক মনসুরুল আলম মনসুর, অফিস সম্পাদক এডভোকেট সানাউল্লাহ, যুব মজলিসের ঢাকা মহানগরী দক্ষিণ সভাপতি জামিরুল ইসলাম প্রমুখ।
যুগ্মমহাসচিব অধ্যাপক আবদুল জলিল বলেন, ভারত বাংলাদেশের সার্বভৌমত্বের উপর আঘাত হানার চেষ্টা করলে ভারতই ভেঙ্গে খান খান হয়ে যাবে। বিজেপি নেতা সুভেন্দু অধিকারী অখন্ড ভারতের দিবা স্বপ্ন দেখছে। অখন্ড ভারতের স্বপ্ন দেখে লাভ নেই বরং ভারতের বৈষম্য ও জুলুম নির্যাতনের কারণে পূর্বাঞ্চলের সাত রাজ্য হাত ছাড়া হয়ে যেতে পারে। সমাবেশে শেষে এক বর্ণাঢ্য র্যালী জাতীয় প্রেসক্লাব থেকে শুরু হয়ে পল্টন মোড় হয়ে দৈনিক বাংলা মোড়ে এসে শেষ হয়।