10
বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর নিবন্ধন বাতিলের বিরুদ্ধে করা আপিল শুনানি আগামী মঙ্গলবার (১০ ডিসেম্বর) পর্যন্ত মূলতবি করা হয়েছে। মঙ্গলবার (৩ ডিসেম্বর) দুপুরে এ আদেশ দেন আদালত।
দলের নিবন্ধন বাতিলের বিরুদ্ধে দেশের সর্বোচ্চ আদালতে আপিল করা হলেও শুধু আইনজীবী উপস্থিত না থাকার কারণ দেখিয়ে তাদের আবেদন খারিজ করে দিয়েছিলেন তৎকালীন প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসানের নেতৃত্বাধীন বেঞ্চ।
গত ৫ আগস্টের পর নিবন্ধন ফিরে পেতে আইনি লড়াইয়ে নামে দলটি। আবেদন করা হয় খারিজ হওয়া আপিলটি পুনরুজ্জীবিত করার। যার শুনানি হয়। শুনানি শেষে জামায়াতের আবেদন মঞ্জুর করেন প্রধান বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদের ৪ সদস্যের বেঞ্চ।
জামায়াতের নিবন্ধন বাতিল চেয়ে ২০০৮ সালে হাইকোর্টে রিট করে তরিকত ফেডারেশন। এ রিটের আলোকে ২০১৩ সালে নিবন্ধন অবৈধ ঘোষণা করেন হাইকোর্ট। যা বহাল থাকে আপিল বিভাগেও। গত বছরের ১৯ নভেম্বর আপিলটি খারিজ (আইনজীবী হাজির না থাকায়) করে দেন সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ।
২০২৪ সালের জানুয়ারিতে ফের আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় আসে। গত জুলাই মাস থেকে বৈষম্যবিরোধী ছাত্ররা কোটা প্রথার বিরুদ্ধে আন্দোলন শুরু করে। এ আন্দোলনে গণহত্যা চালানোর অভিযোগে ছাত্র-জনতা সরকার পদত্যাগের দাবি তোলে। এর মধ্যে ১ আগস্ট সরকার অঙ্গসংগঠনসহ জামায়াতে ইসলামীকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করে। গত ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার আন্দোলনে আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর জামায়াতে ইসলামী নিষিদ্ধের আবেদন বাতিলের উদ্যোগ নেয়। ২৮ আগস্ট সরকার আগের নিষিদ্ধের আদেশ বাতিল করে। এরপর আপিল বিভাগে নিবন্ধন মামলাটি পুনরায় শুনানির জন্য আবেদন করা হয়।