Home » সরকারের ঋণ ছাড়িয়েছে ১৮ লাখ কোটি টাকা, বিপুল ঋণের কারণে আসল ও সুদ পরিশোধের চাপ বেড়েছে

সরকারের ঋণ ছাড়িয়েছে ১৮ লাখ কোটি টাকা, বিপুল ঋণের কারণে আসল ও সুদ পরিশোধের চাপ বেড়েছে

গত অর্থবছরের হিসাব

by radesk
0 comments

বাজেটের আকার বাড়ছে। সে তুলনায় বাড়ছে না রাজস্ব আহরণ। ঘাটতি পূরণে ঋণনির্ভরতা বাড়ছে সরকারের। গত কয়েক বছর এ ঋণ নেওয়ার প্রবণতা বেশি লক্ষ্য করা গেছে। তাই গত ২০২৩-২৪ অর্থবছর শেষে সরকারের মোট ঋণের পরিমাণ ১৮ লাখ কোটি টাকা ছাড়িয়েছে। বৃহস্পতিবার অর্থ মন্ত্রণালয়ের অর্থ বিভাগ গত জুন পর্যন্ত দেশি-বিদেশি ঋণের প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে।

প্রতিবেদন অনুযায়ী, গত বছরের জুন শেষে দেশি-বিদেশি ঋণস্থিতি দাঁড়িয়েছে ১৮ লাখ ৩২ হাজার ২৮২ কোটি টাকা। এর মধ্যে দেশীয় উৎস থেকে নেওয়া হয়েছে ১০ লাখ ২০ হাজার ২০৫ কোটি টাকা। বিদেশি উৎস থেকে নেওয়া হয় ৮ লাখ ১২ হাজার কোটি টাকা। শুধু ব্যাংক ব্যবস্থা থেকে ঋণ নেওয়া হয়েছে ৫ লাখ ৯৬ হাজার ৮৬৩ কোটি টাকা। আওয়ামী লীগ ২০০৯ সালের ৬ জানুয়ারি যখন সরকারের দায়িত্ব নেয়, তখন দেশি-বিদেশি ঋণের স্থিতি ছিল ২ লাখ ৭৬ হাজার ৮৩০ কোটি টাকা।

বিপুল ঋণ নেওয়ার কারণে আসল ও সুদ পরিশোধের চাপ বেড়েছে। সাম্প্রতিক সময়ে সুদের হারও অনেক বেড়েছে। দুই বছর আগে সরকারি ট্রেজারি বিল-বন্ডের সুদহার ছিল ১ থেকে ৬ শতাংশ। বর্তমানে গড় সুদহার ১২ শতাংশ। চলতি ২০২৪-২৫ অর্থবছরের বাজেটে সুদ পরিশোধ বাবদ বরাদ্দ রাখা হয়েছে ১ লাখ ১৩ হাজার ৫০০ কোটি টাকা, যার মধ্যে দেশি ঋণের সুদই ৯৩ হাজার কোটি টাকা।

অর্থ বিভাগের এক প্রতিবেদন অনুযায়ী, চলতি ২০২৪-২০২৫ অর্থবছরের জুলাই-সেপ্টেম্বর প্রান্তিকে ঋণের সুদ পরিশোধে ব্যয় হয়েছে ৪২ হাজার ৩৮৮ কোটি টাকা। যা পরিচালন ব্যয়ের অর্ধেকেরও বেশি। আর সরকারের মোট ব্যয়ের ৪৪ দশমিক ০৪ শতাংশ। এ সময়ে পরিচালন বা অনুন্নয়ন খাতে ব্যয় ছিল ৮২ হাজার ৫৬৮ কোটি টাকা। উন্নয়নসহ মোট ব্যয় ছিল ৯৬ হাজার ২৫৭ কোটি টাকা।

সুদ পরিশোধের এ ধারা অব্যাহত থাকলে চলতি অর্থবছর শেষে শুধু সুদ পরিশোধেই প্রয়োজন হবে ১ লাখ ৬৯ হাজার ৫৫২ কোটি টাকা। বাজেটে এ খাতে বরাদ্দ রয়েছে ১ লাখ ১৩ হাজার ৫০০ কোটি টাকা। ২০২৩-২৪ অর্থবছরে আগের অর্থবছর চেয়ে সরকারের ঋণের সুদ পরিশোধ বাবদ ব্যয় বাড়ে ২৪ দশমিক ৫ শতাংশ। ফলে দেশের ইতিহাসে প্রথমবারের মতো ঋণের সুদ পরিশোধ ১ লাখ কোটি টাকা ছাড়িয়ে ১ লাখ ১৪ হাজার ৭৫৬ কোটি টাকায় উন্নীত হয়, যা সরকারের মোট ব্যয়ের ২৮ শতাংশ। অর্থাৎ পরিচালন খাতে সর্বোচ্চ ব্যয় হয়েছে সরকারের নেওয়া দেশি-বিদেশি ঋণের সুদ পরিশোধে। সংশ্লিষ্টরা জানান, আগের সরকারের যথাযথ ঋণ ব্যবস্থাপনা না থাকায় দেশি উৎস থেকে বেশি পরিমাণে ঋণ নেওয়া হয়েছে। যদিও স্বল্প সুদের বিদেশি ঋণ নেওয়া যৌক্তিক মনে করেন অর্থনীতিবিদ ও বিশেষজ্ঞরা।

You may also like

Leave a Comment

Rajneeti Ajkal is a leading news portal dedicated to providing comprehensive coverage of news, current affairs, political analysis, and the contemporary landscape of Bangladesh.

Rajneeti Ajkal, A Media Company – All Right Reserved. Designed and Developed by Rajneeti Ajkal