ঢাকার পিলখানায় ৫৭ জন সেনা কর্মকর্তা নৃশংসভাবে খুন হওয়ার ঘটনায় সংশ্লিষ্টদের বিচারের দাবিতে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে অভিযোগ দায়ের করেছেন নিহতের স্বজনরা। এ সময় তারা সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, সাবেক সেনাপ্রধান মইন ইউ আহমেদ, সাবেক প্রধানমন্ত্রীর নিরাপত্তা উপদেষ্টা তারিক সিদ্দিকিসহ ৫৮ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল করেন।
বৃহস্পতিবার শহীদ পরিবারের পক্ষে অ্যাডভোকেট উদয় তাসমীর গণমাধ্যমে বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
এ সময় উদয় তাসমীর বলেন, দুপুর ২টার পর আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের চিফ প্রসিকিউটরের কাছে পিলখানা গণহত্যায় শহীদ সেনা অফিসারদের ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের সদস্যরা এই অভিযোগ জমা দেন।
এসময় তৎকালীন বিডিআর-এর ডিজি মেজর জেনারেল শাকিল আহমেদের ছেলে রাকিন আহমেদ, কর্নেল মুজিবুর হকের স্ত্রী ফেরদৌসী, কর্নেল কুদরত এলাহীর ছেলে সাকিব রহমানসহ ১৫-২০ জনের পরিবারের সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।
পিলখানায় ৫৭ জন সেনা কর্মকর্তা নৃশংসভাবে খুন হওয়ার ঘটনা পূর্বপরিকল্পিত ছিল বলে মন্তব্য করেছেন
এ সময় শহীদ কর্নেল মুজিবুল হকের স্ত্রী মেহরিম ফেরদৌসি বলেন, পিলখানায় ৫৭ জন সেনা কর্মকর্তা নৃশংসভাবে খুন হওয়ার ঘটনা পূর্বপরিকল্পিত ছিল। এই হত্যাকাণ্ডকে বিডিআর বিদ্রোহ বলবেন না। বিদ্রোহ এ রকম হয় না। সবকিছুই পূর্বপরিকল্পিতভাবে করা হয়েছে।
২০০৯ সালের ২৫ ফেব্রুয়ারি তৎকালীন সীমান্তরক্ষী বাহিনী বাংলাদেশ রাইফেলসের (বিডিআর) সদর দপ্তর পিলখানায় বিদ্রোহের ঘটনা ঘটে। ওই সময় পিলখানায় বিদ্রোহী জওয়ানদের হামলায় নিহত হন ৫৭ জন সেনা কর্মকর্তা।